ঢাকা: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ব্যাংক থেকে দেওয়া ঋণের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি ২০তম অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত এবং ২৫তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে যারা রেমিট্যান্স পাঠায় তাদের আমরা ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছি। যারা টাকা পাঠান এবং যারা এখানে সেই টাকা রিসিভ করেন তারা টাকা হাতে এলে তা নিজেরাও ব্যয় করতে পারবেন এবং পুঁজিবাজারেও ব্যয় করতে পারবেন, সেখানে পুঁজিবাজারে টাকা গেছে বলে আমরা জানি। প্রণোদনার প্যাকেজের ঋণের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে তথ্য আমি পাইনি। আমি এখন এটি যাচাই করবো এবং আমরা পরবর্তী সভায় জবাব দেবো। আমাকে আগে জানতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রণোদনা প্যাকেজের যেগুলো কোভিড রিলেটেড সেগুলো স্পেসিফাইড করা আছে কোন খাতে আমরা কত ব্যয় করবো। সেই খাত বাদ দিয়ে অন্য কোথাও যাওয়ার ব্যবস্থা নেই। আমরা এই টাকা সরাসরি ট্রান্সফার করেছি। যার জন্য টাকাটি অনুমোদিত হয়েছে তাকেই আমরা পাঠিয়েছি। সুতরাং সেই টাকা রিসিভ করে তিনি কী করবেন সেটা পরবর্তী পর্যায়ে আমাদের যাচাই করতে হবে।
মুস্তফা কামাল বলেন, আগামীতে দেখবো যাদি এ ধরনের আরও কোনো ঘটনা ঘটে, যদিও আমার বিশ্বাস এমন কিছু ঘটেনি। কারণ যাদের দিয়েছি আপনারা জানেন কোন কোন খাতে টাকা দিয়েছি। সেখান থেকে টাকা পুঁজিবাজারে যাওয়ার কথা না। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেফারেন্স যেহেতু দিয়েছেন সুতরাং আমাকে এটি আরও যাচাই করতে হবে। যাচাই করার পর আমি আপনাদের সম্পূর্ণ তথ্য দিতে পারবো।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে গত বছর সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয় ব্যাংকগুলো। আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীদের ৪ শতাংশ সুদে দেওয়া হয় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। এসব ঋণের সুদহার ছিল ৯ শতাংশ। বাকি সুদের টাকা ভর্তুকি দেয় সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ