ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০ হাজার কোটি টাকা চান রেস্তোরাঁ মালিকরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২১
২০ হাজার কোটি টাকা চান রেস্তোরাঁ মালিকরা ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ব্যবসা চলমান রাখার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার চলতি মূলধন ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। একইসঙ্গে হোটেল ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ৫-১০ বছর মেয়াদি একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে সরকারের প্রতিনিধির মাধ্যমে তা বাস্তবায়নের দাবি জানান।

সোমবার (২ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে স্বল্প সুদে জামানতবিহীন এ ঋণ চান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান।  

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসাকে চলমান রাখার জন্য চলতি মূলধন হিসেবে এসএমই খাত থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে জামানতবিহীন ও দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ দেওয়া হোক। গেল বছর করোনা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রেস্তোরাঁ মালিকদের প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ইমরাম হাসান বলেন, ব্যবসা সচল রাখার জন্য রেস্তোরাঁ ব্যবসাকে সেবা খাত হিসেবে হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক-শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। রেস্তোরাঁ খাতে কর্মরত শ্রমিকদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ অথবা নির্দিষ্ট কার্ড দেওয়ার মাধ্যমে মাসিকভাবে খাদ্য সাহায্য দেওয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, চালুকৃত ই-কমার্স টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির ক্ষেত্রে বর্হিবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন করা ও একটি সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন পূর্বক তাদের নিয়ন্ত্রণ করা। বর্তমানে ডেলিভারি কোম্পানিগুলো স্বেচ্ছাচারীভাবে ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যা আমাদের ব্যবসায়িক স্বাধীনতার স্বকীয়তা বিনষ্ট করছে। ইতোমধ্যে অনলাইনে পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে সরকার একটি নির্দেশনা দিয়েছে, যা অতীব জরুরি ছিল। সে অনুযায়ী হোটেল-রেস্তোরাঁর ফুড ডেলিভারির ক্ষেত্রেও সু-নির্দিষ্ট নীতিমালা দেওয়া জরুরি ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরালোভাবে করতে হবে, যাতে উভয়পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়।

বর্তমানে টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারি করছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হোটেল-রেস্তোরাঁ অনুপাতে মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ। আমরা মনে করি বর্তমানে শুধু অনলাইন ডেলিভারির সুযোগ দিয়ে রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার ঘোষণাটি দূরভিসন্ধিমূলক ও দেশীয় ব্যবসায়ীদের কোণঠাসা করার পথও বটে।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিন, যুগ্ম-মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিবসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২১
এসই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।