ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আর্থিক প্রণোদনায় গুরুত্ব না দিলে বৈষম্য বাড়বে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২১
আর্থিক প্রণোদনায় গুরুত্ব না দিলে বৈষম্য বাড়বে

ঢাকা: মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধের কারণে কাজ হারিয়েছেন অনেক মানুষ। এদের মধ্যে সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দুই হাজার ৫০০ টাকার নগদ সহায়তার পাশাপাশি খাদ্য সহায়তায় নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

তবে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে নগদ সহায়তা বাড়ানোর পরামর্শ উঠে এসেছে।  

রোববার (৮ আগস্ট) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজনে বাজেট ২০২১-২২ বাস্তবায়ন পিছিয়ে পড়া মানুষ কীভাবে সুফল পাবে শীর্ষক এক আলোচনায় এমন পরামর্শ উঠে আসে।  

বিশ্লেষকরা বলছেন, আর্থিক প্রণোদনাকে গুরুত্ব না দিলে বৈষম্য আরও বাড়বে। ৮০ শতাংশ মানুষ খাবার ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে। শিশুখাদ্য ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে ১০ শতাংশ মানুষ।  

বলা হয়, যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে তার ৮০ শতাংশ অর্থই ব্যাংক নির্ভর। সাধারণ মানুষ পেয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ অর্থ। এক কোটি ২০ লাখ মানুষ কর্মঝুঁকিতে রয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাছে যদি প্রণোদনার অর্থ না পৌঁছানো যায় তবে বেকারত্ব বাড়বে।  

বলা হচ্ছিল, ঋণের সুদের হার কমালে বিনিয়োগ বাড়বে, কিন্তু এ তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিনিয়োগ না বাড়ালে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব না। ব্যাংক খাত থেকে তারল্য তুলে নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত রোগের সমাধান না, উপসন করা মাত্র। সমাধানের টেকসই উপায় হচ্ছে বিনিয়োগ বাড়ানো।  

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হলে ব্যয় হবে জিডিপির শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অর্থ। যা ব্যয়ে সক্ষম বাংলাদেশ। তবে টিকার সুষম বণ্টন দরকার। বলা হয়, এ সংকটে বহু মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছে, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করত হবে। একইসঙ্গে প্রণোদনা বা আর্থিক সহায়তার সুবিধা যাতে পিছিয়ে পড়া মানুষরা পায় সেই উদোগ নিতে হবে।  

বক্তারা বলেন, শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দের ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে। করোনায় প্রায় তিন হাজার শিশু অনাথ হয়েছে। তাই শিশুদের নিরাপত্তার দিকেও নজর দেওয়া দরকার।  

অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডি সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।  

সভাপতিত্ব করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সম্মানিত কোর গ্রুপ সদস্য, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।  

এছাড়া বক্তব্য রাখেন- কোর গ্রুপের সদস্য ড. মুশতাক রাজা চৌধুরী, রাশেদা কে চৌধুরী, শাহীন আনাম, ড. ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, আসিফ ইব্রহিম প্রমুখ।  

চলতি অর্থবছরের বাজেট পাস হওয়ার পর অতিমারির কারণে বাজেট বাস্তবায়নের বিষয়টি মনোযোগের বাইরে চলে গেছে। সরকারের নতুন প্রণোদনার ঘোষণা এ আলোচনার গুরুত্বকে আরও মনে করিয়ে দিচ্ছে। এ মিডিয়া ব্রিফিংয়ের উদ্দেশ্য হলো অসুবিধাগ্রস্ত মানুষদের অনুকূলে কীভাবে বাজেট বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২১
এসই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।