ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লকডাউন নিয়ে শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা: এফবিসিসিআই সভাপতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
লকডাউন নিয়ে শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা: এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন

ঢাকা: দেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, আমরা (ব্যবসায়ী) লকডাউন নিয়ে শঙ্কিত। সর্বশেষ লকডাউনের সময় বাড়ি ফেরা শ্রমিকদের ১০ শতাংশ আর কাজে ফেরেনি।



বুধবার (১২ জানুয়ারি) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, গেল বছর লকডাউনে ১৫ দিন গার্মেন্টস কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল। লকডাউনের পরে কারখানা চালু হলেও ১০ শতাংশ শ্রমিক আর কাজে ফেরেনি। তাই লকডাউন গ্রহণ যোগ্য না। বরং আমাদের চেষ্টা করতে হবে কোডিভ-১৯ প্রতিরোধ করে কিভাবে বেঁচে থাকা যায়। সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিনি বলেন, লকডাউন সবকিছু স্থবির করে দেয়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে গণসচেতনতার বিকল্প নেই। লকডাউন অর্থনীতির জন্য বিরাট ক্ষতি, তাই লকডাউন না দিয়ে সচেতনতা বাড়ানো দরকার। যে দেশ বেশি লকডাউনে গেছে, সেই দেশ বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতিরমুখে পড়েছে।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অর্থনীতি বাঁচাতে হলে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নিতে হবে। ব্যাংকগুলো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের দিকে ঝুঁকছে বেশি। কম সংখ্যক মানুষের কাছে গিয়ে বেশি টাকা দেওয়া যায়, তাতে কম পরিশ্রম করতে হয়, তাই ব্যাংকগুলো এমন পথ বেছে নিয়েছে। তবে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাছেও যেতে হবে। এখনো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এনজিও থেকে ২০-২৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে টাকা ফেরত দিচ্ছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ পেলে আরও ভালো করতে পারবে।

জসিম উদ্দিন বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী এবং সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর সক্ষমতা না বাড়ানো গেলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে। রাজস্ব আয় ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। নতুনদের করের আওতায় আনা গেলে পুরনোর ওপর চাপ কমবে। রাজস্ব আয়ের পরিমাণ বাড়বে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও কর কাঠামো সংস্কারের বিকল্প নেই।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, পদ্মাসেতু চালু হলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়বে ১ দশমিক ২ শতাংশ। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ হবে। মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর দ্রুত চালু করা দরকার। এতে বিদেশি বিনিয়োগ বিশেষ করে চীনা বিনিয়োগ বাড়বে। কারণ চীন বিদ্যুতের অভাবে অনেক কারখানা স্থাপন করতে পারছে না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব। এসময় সংগঠনটির অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
এসই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।