ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

চট্টগ্রাম-ময়মসিংহের পর রংপুরে উদযাপিত হলো এমএফএস-এর ১০ বছর পূর্তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২২
চট্টগ্রাম-ময়মসিংহের পর রংপুরে উদযাপিত হলো এমএফএস-এর ১০ বছর পূর্তি

ঢাকা: দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির চিত্র বদলে দেওয়া মোবাইল আর্থিক সেবা খাতের ১০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পর রংপুরে অনুষ্ঠিত হলো এমএফএস মেলা।  

এমএফএস নিয়ে সচেতনতামূলক পুতুল নাচ, গম্ভীরা, পথ নাটক নিয়ে রংপুর টাউন হল চত্বর সংলগ্ন পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আয়োজিত এ বর্নাঢ্য মেলার উদ্বোধন করা হয় বেলুন উড়িয়ে।

১১ কোটির বেশি গ্রাহকের এমএফএস খাতের ১০ বছর পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে ‘হাতের মুঠোয় আর্থিক সেবা’ স্লোগানে।

এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে এ মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. খুরশীদ আলম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক, রংপুর অফিসের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. কবির আহাম্মদ। এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিকাশের চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলী, ওকে ওয়ালেটের প্রজেক্ট ম্যানেজার আহসান হাবিবসহ অন্যান্য এমএফএস-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

১০ বছর পূর্তি আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ, উপায়, ট্যাপ, মাই ক্যাশ, টেলিক্যাশ, ট্যাপ এন পে, এফএসআইবিএল, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, ওকে ওয়ালেট, ইসলামিক ওয়ালেট ও নগদ।

এমএফএস খাতের ১০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বিভাগীয় শহরগুলোতে এমএফএস মেলা ও ঢাকায় সেমিনারসহ নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এক দশক আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও ঐকান্তিক ইচ্ছায় প্রশস্ত হয় বাংলাদেশের মোবাইল আর্থিক সেবার পথ চলা। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের অংশ হিসেবে ব্যাংকিং সেবার বাইরে বা সীমিত ব্যাংকিং সেবার আওতায় থাকা জনগণকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে ২০১১ সালে শুরু হয় মোবাইল ভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবিড় তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগে মাত্র ১০ বছরেই এমএফএস এখন দেশের মানুষের প্রতিদিনের আর্থিক লেনদেনের অংশ। শুধুমাত্র দেশে নয়, সারা বিশ্বে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে বাংলাদেশের এমএফএস খাত।

ব্যাংক-লেড মডেলে যাত্রা শুরু করা এ খাতে বর্তমানে ১৩টি এমএফএস প্রতিষ্ঠান সেবা দিচ্ছে। সবগুলো এমএফএস মিলিয়ে গ্রাহক সংখ্যা ১১ কোটির বেশি। এজেন্ট সংখ্যা ১১ লাখের বেশি। গড়ে দৈনিক এক কোটির বারের ওপরে লেনদেন হয় এমএফএসে, টাকার অংকে যার পরিমাণ দুই হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।

প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠানোর জন্য ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউটের সুযোগ নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল সেবা যুক্ত করেছে এমএফএস। মোবাইল রিচার্জ করা, বিদেশ থেকে সরাসরি রেমিটেন্স পাওয়া, মোবাইল অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত অর্থের ওপর মুনাফা, বিভিন্ন ধরনের ইউটিলিটি সেবার বিল পেমেন্ট, ব্যাংক থেকে এমএফএস অ্যাকাউন্টে টাকা আনা, এমএফএস অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, সরকারের বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও উপবৃত্তি বিতরণ, তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকসহ বিভিন্ন শিল্পের শ্রমিকদের বেতন বিতরণ, এমএফএস অ্যাকাউন্টে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ন্যানো ঋণ এবং মাসিক সঞ্চয় সেবাসহ প্রতিনিয়তই নতুন সেবায় সমৃদ্ধ হচ্ছে এমএফএস খাত। ফলে সক্ষমতা ও স্বাধীনতা এসেছে মানুষের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২২
এসই/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।