ঢাকা: চিনির দামে লাগাম টানতে জনস্বার্থে চিনি আমদানিতে আরোপিত সংরক্ষণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। ১৫ মে পর্যন্ত আমদানিকারকরা টন প্রতি আগের হারে শুল্ক-কর দিয়ে অপরিশোধিত চিনি খালাস করতে পারবেন।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (কাস্টমস) থেকে প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, সরকার কাস্টমস আইন ১৯৬৯ এর সেশন ১৯ এর উপ সেশন-১ এর ক্ষমতাবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শে জনস্বার্থে চিনির ওপর আরোপিত রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে, যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর হয়ে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩০ শতাংশ সংরক্ষণমূলক শুল্ক আরোপিত আছে। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত বছরের অক্টোবরে এটি কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। ওই প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত জানুয়ারিতে চিনির সংরক্ষণমূলক শুল্ক ২০ শতাংশ বহাল রেখে প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়াতে একাধিকবার এনবিআরে চিঠি দেয় সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। চিঠিতে রোজায় চাহিদা বৃদ্ধি ও বর্ধিত জাহাজ ভাড়ার বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়, প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ বাড়ানো না হলে অপরিশোধিত চিনি আমদানির প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল হবে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে।
বর্তমানে টনপ্রতি অপরিশোধিত চিনি আমদানি করতে ২২ হাজার ১৩৭ টাকা শুল্ক-কর দিতে হয়। এর মধ্যে শুল্ক ৩ হাজার টাকা, সংরক্ষণমূলক শুল্ক ৯ হাজার ৩২৮ টাকা, ভ্যাট ৮ হাজার ৮৪৫ টাকা, অগ্রিম আয়কর ৯৩২ টাকা এবং অন্য কর ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ