ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তরুণ ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করছে জেসিআই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২২
তরুণ ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করছে জেসিআই

ঢাকা: টানা দ্বিতীয়বার জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তরুণ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। দেশের ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ব্যবসায়ীদের সংগঠন জেসিআইতে একমাত্র এলিটই টানা দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হলেন।

এ কারণে তার কাছে তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশাও একটু বেশি। বাংলানিউজের সঙ্গে জেসিআই নিয়ে নিজের স্বপ্ন-পরিকল্পনার কথা বলেছেন নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।

তিনি বলেন, দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য কাজ করা একমাত্র সংগঠন জেসিআই। আমাদের সংগঠনের সদস্য সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। প্রতি বছর ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়। একমাত্র আমার বেলায় শুধু ব্যতিক্রম। আমি পুনরায় নির্বাচিত হয়েছি। এজন্য আমাদের গঠনতন্ত্রে একটি সংশোধন করতে হয়েছে। সেখানে সবাই ভোট দিয়ে আরেক বছরের জন্য আমাকে নির্বাচিত করেছেন।

নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ায় আমার কাছে সদস্যদের প্রত্যাশাটা আরও বেড়ে গেছে। সেই জায়গা থেকে অনেক কাজ করার ইচ্ছা ও পরিকল্পনা আছে, যদি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ভালো হয়ে যায়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে আছে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য নীতিমালা করা। যার মাধ্যমে তারা সহজ  শর্তে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ পাবেন। তরুণ উদ্যোক্তারা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং দেশের ছোট ছোট বিসিক শিল্পনগরীর কারখানাও যেন ঋণ পায়।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে জমির দাম অনেক বেশি। কেউ শিল্পকারখানা গড়তে চাইলে দেখা যায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ টাকা জমির পেছনেই খরচ হয়ে যায়। আমরা যদি নীতিমালার আওতায় এনে তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে পারি, তাহলে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হবে। অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তরুণ পেশাদাররা চাকরিও পাবে। সবকিছু মিলে পরিকল্পনাটা অনেক বড়। দেখা যাক সামনে থেকে কতটুকু এগিয়ে যেতে পারি।

জেসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমানে তরুণ উদ্যোক্তাদের অধিকাংশই প্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। তরুণরাই আইটি এবং সেবামূলকখাতকে বেছে নিয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়া যতগুলো উদ্যোগ রয়েছে, তার অধিকাংশই প্রতিষ্ঠা করেছেন তরুণ উদ্যোক্তারা। আমাদের দেশের প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগগুলোতে ব্যাংক কখনও অর্থায়ন করেনি। কারণ আমাদের দেশের অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা নতুন সেবামূলক এবং সফটওয়্যার ব্যবসা বোঝেন না।

এই তরুণ উদ্যোক্তা বলেন, বাংলাদেশে ফিনটেক কোম্পানিগুলো অনেক গ্রো করছে। দেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষের ৬৫ শতাংশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে। তাদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সেবা প্রদানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানিগুলো। এদের মধ্যে খুব সময়ে মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী নগদ।

জুনিয়র চেম্বার চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি চট্টগ্রাম খুলশী ক্লাব লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সভাপতি, জুনিয়র চেম্বার চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন চট্টগ্রামের চিফ কো-অর্ডিনেটর, ব্রাদার্স ইউনিয়ন (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) ক্রিকেট কমিটির সভাপতি, একুশে মেলা পরিষদের মহাসচিব, কালের কণ্ঠ শুভ সংঘের চিফ অ্যাডভাইজার, চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের সদস্য ও শাহীন গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের আজীবন সদস্য। সাম্প্রতিক সময়ে মানুষকে লাল ভালোবাসা প্রদানের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। তৈরি করেছেন ‘নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ব্লাড ডোনার্স ক্লাব’। স্বেচ্ছাসেবীমূলক এ সংগঠনের মাধ্যমে দিনে দুই-তিন জনকে রক্ত দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, ৯ মার্চ, ২০২২
এসই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।