ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রধানমন্ত্রীর দুবাই সফর: আরও এক ধাপ এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর দুবাই সফর: আরও এক ধাপ এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সফরকে ঘিরে একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনটা ধারণা করছে অর্থনীতিবিদরা।

এছাড়া এই সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য এবং আইসিটি ও আইটিইএস (আইটি সংশ্লিষ্ট সার্ভিসেস) খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০২০-২১ অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৫০ কোটি ডলার। বিপরীতে আমদানির পরিমাণ ছিল ১৩০ কোটি ডলার। অন্যদিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান ১৩তম। দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের এই পরিসংখ্যানকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ বাড়ছে এ সফরকে কেন্দ্র করে। এছাড়াও ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ বাজারও বিশাল।

এ দেশে দক্ষ শ্রমশক্তির আকার ছয় কোটি ৮৫ লাখ যা বিশ্বে ৭ম বৃহত্তম। শিল্প কারখানার জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, ২৮টি আইটি পার্ক, খাতভিত্তিক ক্লাস্টার পার্ক, আটটি ইপিজেড ও ট্যুরিজম পার্ক রয়েছে।

এ সফরকে কেন্দ্র করে চারটি সমঝোতা স্মারক হয়েছে- উচ্চতর শিক্ষা এবং বিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ে সহযোগিতা; বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস (বিআইআইএসএস) এবং এমিরেটস সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস অ্যান্ড রিসার্সের (ইসিএসএসআর) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক; দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সমঝোতা এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এবং দুবাই ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়।

এফবিসিসিআই এবং দুবাই ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার একটি সমঝোতা চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বন্দর ও লজিস্টিকস, এমএসএমই, আইসিটি, তৈরি পোশাক শিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও হালাল খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, প্লাস্টিক, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, হালকা প্রকৌশল, ব্যাংক-বিমা, পাট, চামড়া, পর্যটন, দক্ষতা উন্নয়ন খাতে দু দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান এফবিসিসিআই- এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।  

চুক্তি সই আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেইয়োদি, সংযুক্ত আরব আমিরাত চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ মোহামেদ আল মাজরোইসহ দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা।  

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ রাজ্জাক খান রাজ।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফর শেষে দেশে ফিরে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতায় বাংলাদেশ এখন ৪১৬ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে শিগগিরই বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত করার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এ এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে আমাদের সফর। এছাড়া ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পগুলোই এক ধাপ এগিয়ে যাবে এই সফরকে কেন্দ্র করে। যেখানে খুবই সহজেই দুই দেশের মধ্যে পণ্য রপ্তানি ও আমদানি অনেকই সহজ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।