ঢাকা: প্রতিদিন বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। কাঁচাবাজারে প্রতিনিয়তই বাড়ছে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, চিনি,চাল, মাছ, মুরগি ও মাংসের দাম।
সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে আসা গৃহিণী সাবরিন সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন কোন না কোন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। আমাদের সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। একটা জিনিস কিনতে গেলে দুটো জিনিস কিনতে পারছি না মূল্য বাড়ার কারণে।
তিনি বলেন, ২ সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। এখন পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না খুচরা তেল। ৫০ কেজি চালের বস্তায় বেড়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। মধ্যআয়ের মানুষ কোনো না কোনোভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে। কিন্তু নিম্নআয়ের মানুষ কিভাবে বাঁচবে? তাদের তো এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে না খেয়ে মরতে হবে। রাজু আহমেদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সংসারের সচ্ছলতা ছিল। কিন্তু করোনাকালে তার চাকরিটা চলে যায়। এখন তার স্ত্রীর রোজগারে সংসার চলছে। রাজু বলেন, বাসা ভাড়া দেওয়ার পরে যা টাকা থাকে তা দিয়ে অনেক কষ্টে চলতে হয়।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে চাল বিক্রেতা কালাম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, চালের সিজন শেষ হওয়ায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে বাজারে। এ কারণেই বেড়েছে চালের দাম। বৈশাখ মাস আসছে। তখন আবার কমবে চালের দাম।
কালশী বাজারে এসেছেন রংমিস্ত্রি পারভেজ ইসলাম। তিনি থাকেন লালমাইটা এলাকার একটি মেসে। দুই সন্তান ও স্ত্রী থাকে রংপুরে। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার আয় করেন তিনি। সেই টাকা দিয়ে নিজের খরচ যেমন মেটানো হয় তেমনি পরিবারের মাসে মাসে টাকা পাঠাতে হয়। পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, মেসে আগে খাবারের জন্য মিল খরচ দিতে হতো দুই হাজার টাকা। ৬ মাস ধরে দিতে হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা। আর পরিবারে মাসে লাগতো ৫ হাজার টাকা। এখন দিতে হয় ৭ হাজার টাকা।
কালশী বাজারের ভোজ্যতেল ও চাল বিক্রেতা কোমল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ করে বাজারের পণ্যের দাম বেড়েছে তা বলা যাচ্ছে না। চালের সিজন শেষ হওয়ায় বেড়েছে চালের দাম। বাজারে বেশির ভাগ পণ্যের দাম বাড়ায় রয়েছে সিন্ডিকেটের প্রভাব।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
এমএমআই/এএটি