ঢাকা: এখন থেকে যে কেউ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ জানাতে পারবেন। তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২০-২০২১ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও সংস্থার কার্যক্রম অবহিতকরণ সভায় বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ৭ মার্চ bfiu.org.bd নামে ওয়েবসাইটটি চালু করেছে বিএফআইইউ। এখন থেকে যে কেউ চাইলে ওয়েবসাইটে নিদিষ্ট লিংকের মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারছেন।
প্রতিবছর দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। পাচারের এই খবর পাচারকারী, আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনী, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, বিএফআইইউ ছাড়া অনেকেই কমবেশি জানেন। আইনগত জটিলতার কারণে ব্যক্তি পর্যায়ে কেউ অর্থপাচারের অভিযোগ করতে আগ্রহী হতো না। বিএফআইইউ’র ওয়েবসাইট চালুর মাধ্যমে এখন থেকে সকলের জন্য অর্থপাচারের তথ্য প্রদান ও অভিযোগ করা সহজ হলো।
২০২০-২১ অর্থবছরে ৫,২৮০টি সন্দেহজনক লেনদেন
২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ২৮০টি। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেনের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৭৫টি।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রকাশিত ২০২০-২০২১ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ সংস্থার কার্যক্রম অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএফআইইউর মহাব্যবস্থাপক এবিএম জহুরুল হুদা, পাবলিকেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক জিএম আবুল কালাম আজাদ, বিএফআইইউর উপ-মহাব্যবস্থাপক কামাল হোসেন ও যুগ্ম-পরিচালক ইকবাল হাসান প্রমুখ।
মাসুদ বিশ্বাস বলেন, আমাদের অর্থপাচার প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসার কারণে অর্থপাচারের ঝুঁকির ধরণ বদলেছে। একই সঙ্গে আমরাও বিভিন্নভাবে সমৃদ্ধ হয়েছি।
বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহজনক লেনদেনের অধিকাংশই ব্যাংকিং চ্যানেলে। অর্থপাচার মনিটরিং জোরদার করায় লেনদেনের এমন চিত্র উঠে এসেছে বলেও জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
এসই/এসআইএস