ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অনির্দিষ্টকালের জন্য বেনাপোল বন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ঘোষণা

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২২
অনির্দিষ্টকালের জন্য বেনাপোল বন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ঘোষণা

বেনাপোল (যশোর): দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোলে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরক্লিপ না থাকায় পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরক্লিপের দাবিতে আগামী ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি।

শুক্রবার (১৩ মে) দিনগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী।  

তিনি জানান, বেনাপোল বন্দর দেশের মধ্যে সর্ব বৃহত্তর হওয়া সত্ত্বেও এখানে ভারি পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরক্লিপ নেই। আর যেগুলো আছে তার মধ্যে কয়েকটা কিছুটা ভালো থাকলেও পণ্য খালাস করতে গিয়ে বার বার নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্রেন ও ফরক্লিপ চালকরাও অদক্ষ। ফলে এ বন্দরে আমদানিকৃত ভারি পণ্য খালাস করতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এ বন্দর থেকে। যার ফলে আগামী ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তারা। এছাড়া এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানালেও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি।  

এদিকে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।  

বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী এস সর্দারের প্রতিনিধি নয়ন জানান, এ বন্দরে প্রায় সবগুলো ক্রেন ও ফরক্লিপ অকেজো হয়ে গেছে। যে ক্রেন ও ফরক্লিপ একটু ভালো আছে সেগুলোও বার বার নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে গত ২৫ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত তার ৭০ ট্রাক পণ্য আমদানি হলেও ক্রেন অকেজো থাকায় খালাস মাত্র ৩ ট্রাক পণ্য। ফলে তাদের প্রতিদিন বাড়তি ট্রাক ভাড়া দিতে হচ্ছে। এতে তাদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরে ক্রেন ও ফরক্লিপ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ব্লাক বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যনেজার মিল্টন জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বর্তমানে অধিক পরিমাণে পিডিপি (বিদ্যুৎ টাওয়ারের মালামাল) অ্যাঙ্গেল আমদানি হচ্ছে। এতে এ টিটিবি অ্যাঙ্গেল ওঠাতে ও নামাতে গিয়ে তাদের বেশ কিছু ক্রেন ও ফরক্লিপের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। ফলে পণ্য ওঠাতে-নামাতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া এ বন্দরে তাদের ৬টি ক্রেনের মধ্যে ৩টি সচল আছে। ১০টি ফরক্লিপের মধ্যে ৮টি সচল আছে। খুব দ্রুত আরও ২টি ক্রেন আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২২
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।