ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আরলা ফুডসে দুর্ঘটনাজনিত কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হয়নি প্রায় সাড়ে ৫ বছর

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২২
আরলা ফুডসে দুর্ঘটনাজনিত কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হয়নি প্রায় সাড়ে ৫ বছর

ঢাকা: এক অনন্য কৃতিত্বে, ইউরোপীয় বহুজাতিক দুগ্ধ সমবায় প্রতিষ্ঠান আরলা ফুডসের স্থানীয় সাবসিডিয়ারি আরলা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেডের ফ্যাক্টরি ২০০০ দিন ‘লস টাইস অ্যাকসিডেন্ট’ ছাড়া অতিবাহিত করার অর্জন উৎযাপন করেছে।

সম্প্রতি উৎযাপন অনুষ্ঠানে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে অবস্থিত ফ্যাক্টরিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসান, আরলা ফুডসের হেড অফ সাউথ এশিয়া বাস প্যাডবার্গ, আরলা ফুডস বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পিটার হলবার্গ এবং মিউচুয়াল গ্রুপের ডিরেক্টর ফারজানা আজিম।

দেশের জনপ্রিয় পাউডার দুধ ডানোর প্রস্তুতকারক এই প্রতিষ্ঠানটি মার্চ ৯, ২০১৭ তারিখ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে কর্মী নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা জনিত কারণে একজন কর্মচারীর ন্যূনতম একদিনের জন্য কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকাকে ‘লস টাইস অ্যাকসিডেন্ট’ বলে।  

বছরের পর বছর ধরে আরলা ফুডস ফ্যাক্টরিতে নিরাপত্তার মান নিশ্চিত করতে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। পদক্ষেপগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আরলা গ্লোবাল করনারস্টোন প্রোগ্রাম (আচরণগত নিরাপত্তা প্রোগ্রাম), ক্রমাগত প্রশিক্ষণ (ক্লাস রুম প্রশিক্ষণ, টুল বক্স প্রশিক্ষণ ইত্যাদি), কর্মীদের জন্য স্বচ্ছ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া প্রভৃতি। এই ধরনের উদ্যোগগুলোর ফলে আরলা বাংলাদেশ এর ফ্যাক্টরিকে বিশ্বব্যাপী আরলা সকল প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিরাপত্তার মানদণ্ডের অন্যতম উল্লেখযোগ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসান বলেন, এ বছর ডেনমার্ক বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে। তবে আরলা ফুডসের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে এদেশের জনগণের পুষ্টির চাহিদা পূরণে অবদান রাখছে। আমি আরলা বাংলাদেশকে তাদের চমৎকার অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই।

২০০০ দিন ‘লস টাইস অ্যাকসিডেন্ট’ ছাড়া অতিবাহিত করার গুরুত্ব সম্পর্কে আরলা ফুডস বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পিটার হলবার্গ বলেন, একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর কর্মক্ষেত্র শুধুমাত্র কর্মীদের শুধুমাত্র দুর্ঘটনা এবং অসুস্থতা থেকেই রক্ষা করে না, বরং কর্মচারীদের মনোবল বজায় রাখার পাশাপাশি তদসম্পর্কিত খরচ কমাতে এবং উৎপাদনশীলতা ও গুণমান উন্নত সহায়তা করে। একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসাবে, আমরা একটি নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমাদের সহকর্মীদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই অর্জনটুকু তারই পরিচায়ক।

আরলা ফুডসের হেড অফ সাউথ এশিয়া বাস প্যাডবার্গ বলেন, যেকোনো ব্যবসায় পণ্য মান এবং নিরাপত্তা একে অন্যের পরিপূরক। গ্রাহকদের জন্য সেরা পণ্য মান নিশ্চিত করতে আমরা যতটুকু প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, ততটাই দায়িত্বশীল আমরা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। বাংলাদেশের সহকর্মীদের এই অর্জন আরলা বৈশ্বিক দায়িত্ববোধের বেশ বড় একটি উদাহরণ।

এবছরের শুরুতে, আরলা ফুডস ফ্যাক্টরি সম্মানজনক ফুড সেফটি সিস্টেম সার্টিফিকেশন (এফএসএসসি) ২২০০০ (ভার্শন ৫.১) পেয়েছে যা কিনা খাদ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা নিরীক্ষা এবং প্রত্যয়নের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি মানদণ্ড।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।