ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

চালের মিলগেট-পাইকারি দাম ওয়েবসাইটে জানানোর তাগিদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
চালের মিলগেট-পাইকারি দাম ওয়েবসাইটে জানানোর তাগিদ

ঢাকা: চালের বাজারে কারসাজি রোধে মিলগেট ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দৈনিক দাম ঘোষণার জন্য ওয়েবসাইট খুলতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।  

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপে তিনি এ কথা জানান।

 

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে মিল মালিকদের এক সম্মেলনে আমি সতর্ক করেছি। তারা এখনও বলে যে মিল গেটে দাম বাড়ায়নি। তাদের বলা হয়েছে, তারা যেন মিল গেটের ওয়েবসাইট খোলে। প্রতিদিন এখানে কোন চালের দাম কত এটা যদি তারা দেয়।  

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে আমরা আহ্বান জানাবো পাইকারি ব্যবসায়ী যারা আছে তারাও যেন ওয়েবসাইট খোলে। তারা মিলগেটের সাথে মিল রেখে জানাবে পাইকারি বাজার আজ কি আছে। তাহলে আমরা সামঞ্জস্য আনা যাবে। আমি মনে করি এটা অতি জরুরি। সমন্বয় করতে পারলে ভোক্তারা অনেক উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, অনেকগুলো পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। এর আগেও আমি আপনাদের ব্যাখ্যা দিয়েছি। তেলের দাম যখন বাড়লো সে হিসেবে যদি আমরা দেখি, চালের দাম খুব বেশি হলে জায়গা বিশেষে ১ টাকা বাড়তে পারে সর্বোচ্চ, সেখানে রাতারাতি ৫ টাকা ৬ টাকা ৮ টাকা যখন বাড়িয়ে দিলো এটা অস্থির মস্তিস্কের পরিচয়। পরের দিন আমি ডিজি, সচিবকে ডেকে সেদিনই সিদ্ধান্ত নিই ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করবো। ঘোষণার পর গ্যাপ ছিলো ১৫ দিন। এর অর্থ হলো ব্যবসায়ীদের কাছে বার্তা দেওয়া যে ডাবল তিন ডাবল আমাদের মজুদ থেকে আমরা দেবো। এতে যদি কিছুটা স্টেবল হয়। এ কার্যক্রম এখন চালু আছে।  

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র বলেন, ১ অক্টোবর থেকে ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় আটার বিক্রি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আজও মিটিং করেছি যে গম আসছে, গমের সমস্যা হবে না। আমরা ১ অক্টোবর থেকে জেলা ও সিটি করপোরেশনে যেখানে আমরা আটা দিতাম। এখন তো লিমিটেড ৪শ ডিলারের কাছে আটা যায়, ৫শ কেজি করে। বাকিদের দিতে পারি না। ১ অক্টোবর থেকে সব ডিলারকে আমরা ১ টন করে আটা দেওয়া শুরু করবো, যাতে মানুষ আটা পায়।  

তিনি বলেন, এই আটা ২ কেজি করে প্যাকেটজাত করা যায় কিনা সেটা আমরা দেখছি। কারণ খোলা আটা অনেক সময় স্মাগলিং হয়ে যায়, বাজারে দামের ডিফারেন্সটা যেহতু বেশি। আমাদের তো লোভের সীমা নাই। এ কারণে আমরা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা যায় কিনা দেখা হচ্ছে। এতে দাম একটু বেশি পড়বে কিন্তু তারপরও বাজারের চেয়ে অর্ধেক দাম পড়বে। আমি মনে করি এতে কালোবাজারি বন্ধ হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখনও যে খাদ্য মজুদ আছে তাতে হাহাকারের অবস্থা নেই। তবুও আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি। কারণ সামনে বন্যা বা খরায় ফসলের ক্ষতি হতে পারে। এ জন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে চাল-গম আমদানি করে গুদাম পরিপূর্ণ করতে চাচ্ছি। আশা করি সফল হবো।  

খাদ্য মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের প্রকৃতি যেমন অস্থির, ব্যবসায়ীরাও তেমনি অস্থির। দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। ভারত যখন ২০ শতাংশ ট্যাক্স আরোপ করলো, সেটা সব চালে নয় আতপ চালে। এটা দেখে দাম বাড়ানো শুরু করেছে। এ মুহূর্তে আউশের যে উৎপাদন, আমি গত ১০-২০ বছরে এমন উৎপাদন দেখিনি। সে জায়গা থেকে দাম বাড়ানো আমি মনে করি অনুচিত।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন। সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএফ এর অনান্য সদস্যবৃন্দ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
আরকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।