বাগেরহাট: পদ্মা সেতু চালুর হওয়ার পর থেকে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি বেড়েছে। দেশের ৮০ ভাগ গাড়িই এখন মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহীনুর আলম, হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ শাহীন মজিদ এবং বারবিডা সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডনসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বারবিডা নেতারা বলেন, পদ্মা সেতু চালুর হওয়ার পর থেকে দেশে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি বেড়েছে। এ খাত থেকে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। এই মুহূর্তে বন্দর চ্যানেলের গভীরতা বাড়াতে পারলে বন্দরে আরও বড় জাহাজ আসতে পারবে। ফলে একসঙ্গে অনেক বেশি গাড়ি আনা সম্ভব হবে এবং পরিবহন ব্যয় হ্রাস পাবে। ড্রেজিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানিকৃত গাড়ি খালাসের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তারা।
বারবিডা সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে। এ বন্দরে গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা এখন আর তেমন ঘটে না। আমদানিকৃত গাড়ির প্রায় ৮০ ভাগইই এখন মোংলা বন্দর দিয়ে আনা হয়।
মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, আমদানিকৃত গাড়ির শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করারর দায়িত্ব আমাদের। আপনাদের কোন ধরনের অভিযোগ থাকলে আমাকে সরাসরি লিখিত জানাবেন, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।
বন্দর প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পর ২০০৯ সালে ৮ হাজার ৯০০টি গাড়ি আমদানির মাধ্যমে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আসা শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে এ বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি বাড়ছেই। বিগত দিনের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে মোংলা বন্দর দিয়ে দেশে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৮০৮টি গাড়ি এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ২৮ নভেম্বর ২০২২
এমএমজেড