সদ্ভাবের বদলে ভারতবিরোধিতার অন্ধ জিকির তুলে এরা সস্তা ফায়দা লোটায় ব্যস্ত ছিল। এর ফলে সংলাপের, দেওয়া-নেওয়ার পথটি প্রায়-বন্ধ ছিল।
বাংলাদেশ-ভারতের একের কাছ থেকে অপরের নেবার ও দেবার আছে অনেককিছু। দু’দেশের কূটনীতি এখন সেপথেই এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান ভারত সফরটির ঐতিহাসিক তাৎপর্যও তাই সীমাহীন। ভারত তাঁর এ-সফরকে যতোটা গুরুত্ব দিচ্ছে, এককথায় তা অভূতপূর্ব, নজিরবিহীন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রটোকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে হাজির হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করেছেন। মোদির এই বিরল সৌজন্য প্রকাশে শেখ হাসিনাও ‘অভিভূত’। কেননা প্রটোকল অনুযায়ী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিমানবন্দরে থাকার কথা ছিলো না।
বাংলাদেশকে ভারত এখন কতোটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখে এটা তারই বহির্প্রকাশ। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবস্থান করছেন ভারতের রাষ্ট্রপতিভবনে। এ-ও এক বিরল সম্মান বটে। এছাড়া নয়াদিল্লির পার্ক স্ট্রিটের নাম বদল করে রাখা হয়েছে 'বঙ্গবন্ধু সরনি'। শেখ হাসিনার সম্মানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছুটে গেছেন নয়াদিল্লিতে। সব মিলিয়ে এক অভূতপূর্ব রাখীবন্ধনের পূর্বাভাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ-সফর। সম্পর্ক এবার নতুন পাল ওড়াক। নানা দিকে। নানা অমিত সম্ভাবনার দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
জেএম/