ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

আগামী বছর সাড়ে ২০ হাজার মাধ্যমিক স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১২
আগামী বছর সাড়ে ২০ হাজার মাধ্যমিক স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: সরকার আগামী বছরের মধ্যে দেশে ২০,৫০০ মাধ্যমিক স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করবে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু স্কুলে নিজস্ব উদ্যোগে এ ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

আগামী কয়েক বছরে শিক্ষাদান পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন ঘটবে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পিলখানায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) পরিচালিত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজে ডিজিটাল ক্লাসরুম উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।

এসময় বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নোমান উর রশীদ, কলেজদ্বয়ের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষা খাতে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সকল স্তরে ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই প্রদান, ১ জানুয়ারি ক্লাস শুরু করা, ১ ফেব্র“য়ারি এসএসসি পরীক্ষা, ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করা, ৬০ দিনের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা, পরীক্ষা, ভর্তি, নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারসহ নানা যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করে বিজিবি’র কলেজ দু’টি নতুন মাইলফলক স্থাপন করলো। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার মন মানসিকতায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি যেসব স্কুল-কলেজের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে তাদেরকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, কলেজ দু’টির মাধ্যমিক স্তরে প্রত্যেকটিতে ২৫টি করে ক্লাসরুমে অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া টাচ স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ সফটওয়ার দ্বারা পরিচালিত এসব মাল্টিমিডিয়া স্ক্রিনের মাধ্যমে শিক্ষকগন নিজেদের প্রস্তুতকৃত ডিজিটাল কন্টেন্ট দিয়ে শ্রেণি পাঠ সহজবোধ্যভাবে উপস্থাপন করছেন। চিরাচরিত শিক্ষা উপকরণ চক-ডাস্টার আর ব্যবহৃত হচ্ছে না।

শিক্ষার্থীরা মাল্টিকালার উপস্থাপনার কারণে চলমান ছবির মাধ্যমে বিষয়সমূহ সহজেই বুঝতে পারছে। এ পদ্ধতির শ্রেণি পাঠদান কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণ করা সম্ভব। এ পদ্ধতি শিক্ষার মানোন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। দু’টি কলেজে এ ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতে এক কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১২
এনএস
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।