ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবি শিক্ষক সমিতি

বিভক্ত নীল দলের দুই প্যানেলে নির্বাচন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
বিভক্ত নীল দলের দুই প্যানেলে নির্বাচন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): নানা নাটকীয়তা শেষে জমে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৩।  

নির্বাচনে লড়বে বিভক্ত আওয়ামীলীগপন্থী নীল দলের দুটি প্যানেল।

তবে এই সরাসরি অংশ না নিলেও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দল নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।

গত সোমবার শেষ দিনের মতো এই নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।

জবির শিক্ষকদের সংগঠন জবিশিসের এবারের নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন ৬৭৫ জন শিক্ষক। পূর্বনির্ধারিত সময় ও তারিখ অনুযায়ী ২১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে হবে এই নির্বাচন। লড়াই করছেন ৩০ জন শিক্ষক। তাদের মধ্য থেকে পাঁচটি পদে পাঁচজন ও সদস্যপদে জয় পাবেন ১০ জন।

শিক্ষক সংগঠনের এই নির্বাচনে নীল দলের (জাকিস হোসেন-নাফিস আহমদ) প্যানেল থেকে সভাপতি পদে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান নির্বাচন করছেন।  

অন্যদিকে নীল দলের পরিমল বালা-আনোয়ার হোসেন প্যানেল থেকে সভাপতি পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মো. জহির উদ্দিন আরিফ নির্বাচন করছেন। এরই মধ্যে বিভক্ত নীল দল পাল্টাপাল্টি নির্বাচনী ইশতেহারও ঘোষণা করেছে।

আদর্শ এক হলেও ভিন্ন মতের কারণে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে আওয়ামীলীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করে। বরাবরের মতো নীল দলের এ বিভক্তিতেই জবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল দুটি সরাসরি সাবেক উপাচার্যপন্থী ও উপাচার্য বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিল। উপাচার্যের পরিবর্তনে রদবদলে দীর্ঘ আট বছর পর সর্বশেষ শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বেও নতুনত্ব আসে।

এদিকে নির্বাচনের ১৫ দিন আগে নীল দলের একাংশ ভেঙে গঠিত হয় স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজ নামে নতুন একটি আওয়ামীলীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন। নির্বাচনে তারা সরাসরি অংশ না নিলেও ফলাফলে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের।  

এছাড়া সাদা দলও এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে বিভক্ত নীল দলের কোনো অংশে তাদের মধ্য থেকেও নেতৃত্ব আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষকরা।  

আর ভোটারদের মধ্যেও তাদের প্রভাব অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য শিক্ষকদের।

নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আব্দুল আলিম বলেন, নির্বাচনের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনে কেউ কোনো নিয়ম-বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
এএট

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।