ঢাকা: সিজিপিএ (গ্রেডিং পয়েন্ট পদ্ধতি) বাতিল করে ক্যারিঅন প্রথা বহালের দাবি জানিয়েছে সরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে তারা।
রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেত হয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ করেন।
তারা জানান, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে মেডিকেল শিক্ষা পদ্ধতি নতুন কারিকুলামে যুক্ত করা হয়েছে। এতে সিজিপিএ পদ্ধতি চালু এবং ক্যারিঅন পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। যা চিকিৎসকদের মধ্যে শ্রেণি বৈষম্য সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে ক্যারিঅন পদ্ধতি চালু থাকলে পেশাগত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও নিজের ব্যাচের সঙ্গে শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া যায়।
তারা আরও বলেন, উন্নত দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে বিএমডিসি নতুন মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় কোনো ধরনের অবকাঠামোগত পরিবর্তন না করেই সিজিপিএ সিস্টেম চালু করেছে। অন্যান্য দেশে যেখানে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়, সেখানে আমাদের দেশে প্রফেশনাল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। যেসব দেশে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়, শুধুমাত্র সেসব দেশে সিজিপিএ সিস্টেম চালু আছে। কিন্তু বিশ্বের কোথাও প্রফেশনাল পরীক্ষার পাশাপাশি সিজিপিএ পদ্ধতি চালু নেই। তা শুধু বাংলাদেশেই চালু হতে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিজিপিএ সিস্টেম চালু হলে এই সহযোগিতা-সহমর্মিতা লোপ পাবে, যা কাম্য কারো নয়। উন্নত দেশে স্বজনপ্রীতির কারণে স্নাতক পর্যায়ে মৌখিক পরীক্ষা নিরূৎসাহিত করা হয়। অথচ বাংলাদেশে প্রফেশনাল পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বরই নির্ধারিত থাকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য। একজন শিক্ষার্থীর সিজিপিএ মৌখিক পরীক্ষার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল হবে। তাই এই পদ্ধতি চালু করলে উচ্চ সিজিপিএয়ের জন্য স্বজনপ্রীতি বেড়ে যাবে।
তারা আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থীর ভালো বা খারাপ চিকিৎসক হওয়া নির্ভর করে তার দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার ওপর। এমতাবস্থায় সিজিপিএ সিস্টেম চালু হলে চিকিৎসকদের দক্ষতার ওপর নজর না দিয়ে মানুষ সিজিপিএর ওপর ভিত্তি করে তিনি ভালো না খারাপ তা নির্ধারণ করবে, যা অযৌক্তিক।
এসময় তারা সিজিপিএ পদ্ধতি চালু করলে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু ও পরীক্ষার পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত পরিবর্তনের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৩
এসসি/এমএমজেড