খুলনা: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, ব্যাপক প্রত্যাশা সামনে নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু এখনো বহুক্ষেত্রে সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) আয়োজিত ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি স্ট্র্যাটেজি (এনআইএস) শীর্ষক এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে, দিক-নির্দেশনা দিতে হবে। সমাজের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। বৈশ্বিক পরিবর্তনের ধারায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার যুগোপযোগিতা নিরূপণ করে তা ধারণ ও আত্মস্থ করে নিজেদের পরিবর্তন ঘটাতে না পারলে, খাপ খাওয়াতে না পারলে আমরা টিকে থাকতে পারবো না।
দেশ, জনগণ ও সমাজের প্রত্যাশা পূরণে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য শিক্ষক সমাজকে দেশের প্রত্যাশা পূরণে নেতৃত্বে দিতে হবে।
তিনি শিক্ষকদের অনুকরণীয় শিক্ষক হওয়ার আহ্বান জানান।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে নানাভাবে তার সম্পৃক্ততার কথা তুলে তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশে উচ্চশিক্ষায় অনেকগুলো ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপনে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বর্তমান উপাচার্যের নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আরও বিকশিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার অর্থ আত্মনির্ভরশীল সুখি সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্য অর্জনে দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে জাতি গঠনের মুখ্য দায়িত্ব শিক্ষকদের। শিক্ষাক্ষেত্রে আজ যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সে ধারার সাথে খাপ খাওয়াতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আমরা ইতোমধ্যে ১ জানুয়ারি থেকে ওবিই কারিকুলা অনুসরণের কাজ শুরু করেছি এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এনআইএসসহ বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
উপাচার্য ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কাজে সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ‘একাডেমিক লিডারশিপ টু ফ্যাসিলিটিজ চেঞ্জ’ এবং ‘কোয়ালিটি এডুকেশন ফর ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং’ দুটি সেশন পরিচালনা করেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
এছাড়া ‘এনআইএস- কনসেপ্টস অ্যান্ড ইস্যুস’ এবং ‘এনআইএস-ইমপ্লিমেন্টেশন’ শীর্ষক দুটি সেশন পরিচালনা করেন বিপিএটিসির পরিচালক মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম।
ফিডব্যাক গ্রহণ করেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ার্দার।
প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ১১৮ জন শিক্ষক অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
এমআরএম/এএটি