ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১২

জবি : সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে নাটক মঞ্চায়নকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুর ও লুটপাটসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

‘সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী’ ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ৪ দফা দাবিনামা পেশ করা হয়।

দাবিগুলো হচ্ছে, মিথ্যা মামলায় আটককৃত সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজোয়ান হারুন ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা মিতা রানী হাজরাকে নি:শর্ত মুক্তি প্রদান ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঘটনার উস্কানিদাতা বিভিন্ন মৌলবাদী মহল ও ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা, সহিংসতার পেছনে ভূমিকা পালনকারী সাতক্ষীরার স্থানীয় দৈনিক দৃষ্টিপাত ও দৈনিক আলোর পরশ পত্রিকা দু’টি নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং নিপীড়িত-অবহেলিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রগতিশীল দেশের মতো জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন জবির মাইক্রোবায়োলজি এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জাকারিয়া মিয়া, মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কাজী সাইফুদ্দিন, অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, নির্বাহী প্রকৌশলী সুকুমার চন্দ্র সাহা, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি বিপুল বিশ্বাসসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সাতক্ষীরার পাশাপাশি সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ কালীগঞ্জের দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় একটি নাটক মঞ্চায়িত হয়। সেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে জামায়াত সমর্থিত দুটি স্থানীয় পত্রিকা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে।

এ সংবাদের জের ধরে ২৯ মার্চ মৌলবাদী গোষ্ঠী স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকাসহ চারদহ ও ফতেপুর গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন এবং বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকাকে পুলিশ আটক করে রেখেছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৩১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১২

এমএস
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।