ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১১ মার্চ ২০২৫, ১০ রমজান ১৪৪৬

শিক্ষা

সান্ধ্য কোর্স বন্ধ হওয়া জরুরি: ইউজিসি 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
সান্ধ্য কোর্স বন্ধ হওয়া জরুরি: ইউজিসি 

ঢাকা: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন, উইকেন্ড, এক্সিকিউটিভ প্রভৃতি নামে পরিচালিত কোর্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।  

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কোর্স বন্ধ হওয়া জরুরি উল্লেখ করে ইউজিসি'র অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন ডিপ্লোমা, শর্ট কোর্স, ভোকেশনাল ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করার সুপারিশ করেছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা, উচ্চতর গবেষণা, উদ্ভাবন, নতুন জ্ঞান সৃজন ও উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ১৭ দফা সুপারিশ সম্বলিত ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২১ গত ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পেশ করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।  

স্যান্ধ্যকালীন কোর্সের মতো বিভিন্ন কোর্স নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সান্ধ্যকালীন, উইকেন্ড, এক্সিকিউটিভ প্রভৃতি নামে প্রোগ্রাম/কোর্স পরিচালিত হচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ ধরনের প্রোগ্রাম/কোর্স পরিচালনা করা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য, ভাবমূর্তি এবং নিয়মিত শিক্ষার্থী স্বার্থের পরিপন্থী বিধায় উল্লেখিত সব প্রোগ্রাম/কোর্স বন্ধ হওয়া জরুরি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী ইউজিসির পূর্বানুমোদনক্রমে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে ডিপ্লোমা, শর্ট কোর্স, ভোকেশনাল ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করা যেতে পারে।  

বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন বা এক্সিকিউটিভ কোর্স পরিচালিত হওয়ায় সেখানে স্বল্প সময়ে বেশি অর্থ দিয়ে সনদ নেওয়ার আগ্রহ দেখা দিচ্ছে। নিয়মিত পাঠের চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও এসব কোর্সের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে দেখা যায়। ফলে অনেকটা সনদ বাণিজ্য হয়ে পড়ায় এসব কোর্স নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা নানা সময়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এবার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ইউজিসি থেকেই সেই সব কোর্স বন্ধের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়।

রাষ্ট্রপতি সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক ও নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এসময় শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে ‘ওয়াচ ডগ’ হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক শিক্ষার পরিবর্তে চাহিদা ভিত্তিক ও যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এ লক্ষ্যে গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় অধিকতর মনোযোগী হওয়া জরুরি। গবেষণার গুনগত মান নিশ্চিতে তিনি ইউজিসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।