ঢাকা: ২০২২ সালের উচ্চ-মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সার-সংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন। পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন।
২০২১ সালে মোট পাসের হার ছিল ৯৫.২৬ শতাংশ, গতবারের তুলনায় পাসের হার কমেছে ৯.৩১ শতাংশ। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। ২০২২ সালে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। অর্থাৎ জিপিএ-৫ কমেছে ১২ হাজার ৮৮৭ জন।
এবার ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী ২.৯৫ শতাংশ বেশি পাস করেছে। মোট ১৫ হাজার ১৬০ জন ছাত্রী বেশি পাস করেছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৭.৮৩, রাজশাহীতে ৮১.৬০, কুমিল্লায় ৯০.৭২, যশোরে ৮৩.৯৫, চট্টগ্রামে ৮০.৫০, বরিশালে ৮৬.৯৫, সিলেটে ৮১.৪০, দিনাজপুরে ৭৯.০৮, ময়মনসিংহে ৮০.৩২, মাদরাসা বোর্ডে ৯২.৫৬ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৯৪.৪১ শতাংশ।
মোট দুই হাজার ৬৩৭টি কেন্দ্র ও ৯ হাজার ১৩৯টি প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়। গতবারের তুলনায় প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৮টি ও কেন্দ্র বেড়েছে ১৬টি।
করোনা ও বন্যার কারণে সময়মতো পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ৭ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১৩ ডিসেম্বর। করোনা-বন্যার কারণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ছাড়া ১২টি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
এমকে/এমএইচএইচ