ইবি (কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক নবীন ছাত্রীকে ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগীর দ্বারা নির্যাতনের ঘটনায় হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে ক্যাম্পাসে এসেছেন অভিযুক্তরা।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ক্যাম্পাছে পৌছাঁন তারা।
তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তাবাসসুম ক্যাম্পাসে আসেন। এসে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন অ্যাকাডেমিক ভবনে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডলের কার্যালয়ে যান। সেখানে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হন। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে করা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিও ক্যাম্পাসে পৌছেঁছে।
এর আগে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিতে পিতা ও মামাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন ফুলপরী। কমিটির কাছে সেদিনের নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা দেন ফুলপরী। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচার পাবার আশাবাদী হয়ে ক্যাম্পাস থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় তিনটা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতন করা হয় নবীন ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে। ভুক্তভোগী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা ওই ছাত্রীকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখে।
১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয় পেয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী ছাত্রী। র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত দেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়েন অভিযুক্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এসআইএস