ইবি: গুচ্ছকে না জানিয়ে আগামী ২১ মার্চের মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিল (এসি) ডেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তাব জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভায় সর্বসম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়।
ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ইবি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে আমরা সবাই একমত হয়েছি। আজকের শিক্ষক সমিতির সভায় ২১ মার্চের মধ্যেই একাডেমিক কাউন্সিল ডেকে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়। আমাদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাবনা আকারে প্রশাসনকে জানিয়েছি।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গুচ্ছে না যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শিক্ষকরা। পরে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে গুচ্ছে না যাওয়ার ব্যাপারে ব্যাখা দেন শিক্ষক নেতারা।
শিক্ষক নেতারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম পাবলিক বিশ্বিবদ্যালয় ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ এর আছে সমৃদ্ধি ও ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এখানকার স্নাতক শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়া প্রশ্নাতীত। সমন্বিত (গুচ্ছ) ভর্তি প্রক্রিয়া অধিকতর সহজ ও নির্বিঘ্ন হবে সারাদেশের কয়েক লাখ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এমন প্রত্যাশায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়।
কিন্তু পরে দেখা যায়, সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ায় সমন্বয়হীনতা, দীর্ঘসূত্রিতা শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলেছে। এর ফলে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার বিষয়ে জনমতে একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার কারণে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা বিভিন্নভাবে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি, বলেন শিক্ষকরা।
এর আগেও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আগেও গুচ্ছতে থাকলে শিক্ষকরা ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছিল শিক্ষক সমিতি। পরে প্রশাসনের নির্দেশে ভর্তি পরীক্ষা নিতে সম্মত হন শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
এসআই