গাইবান্ধা: ভৌগলিক অবস্থান ও জনবসতির বিপরীতে ৫০টিরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। ফলে শিক্ষার্থী সংকটে ভুগছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলা টাউন হল রুমে আয়োজিত জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের আলোচনা সভায় এ অসঙ্গতির বিষয়টি উঠে আসে।
সভায় উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা জানতে প্রধান শিক্ষকদের মতামত জানতে চান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
এসময় উপজেলার কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের উত্তর সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান মিলন ও মহদীপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাফিরুল ইসলাম চিনু জানান, দুই কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যালয় স্থাপনের নিয়ম না থাকলেও উপজেলার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে এক থেকে আধা কিলোমিটারের মধ্যে। ফলে শিক্ষার্থী সংকটে ভুগছে বিদ্যালয়গুলো। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুই থেকে তিনটি বিদ্যালয় একত্রে করে পাঠদানের দাবি জানান তারা।
এ ব্যপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) কামরুজ্জামান মন্ডল জানান, উপজেলায় এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী সংখ্যা গড়ে পঞ্চাশের নিচে। আমরা ইতোমধ্যে একীভূত ভাবে পাঠদানের লক্ষ্যে ৬৪টি বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করে অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে পাঠিয়েছি।
সভার সভাপতি ইউএনও কামরুজ্জামান জানান, এভাবে এত কাছকাছি এতগুলো বিদ্যালয় কীভাবে স্থাপিত হতে পারে বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামিকুল ইসলাম লিপন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা বেগম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ১৩ মার্চ ২০২৩
এমএমজেড