ঢাকা: কলেজ সরকারি হওয়ার পর নানা ভোগান্তি পেরিয়ে শিক্ষকরা আত্তীকৃত হন। কিন্তু এরপরও এসব শিক্ষকরা পদে পদে নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
আবার প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা অর্জন এবং বয়স পঞ্চাশোর্ধ হলেও বছরের পর বছর ধরে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না। জুনিয়ররা পদোন্নতি পেলেও আত্তীকৃত যোগ্য জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আত্তীকৃত কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক ফোরামের (বাসকশিফো) নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও কোনো সাড়া মিলছে না। সময়ক্ষেপণ করায় ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষক নিয়মিতকরণ, স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতি ছাড়াই চাকরিজীবন শেষ করে খালি হাতেই অবসরে চলে যাচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংগঠনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের সব অর্জন ও সফলতাকে পেছনে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা শিক্ষাকে ধ্বংস করে সরকারের ভিশন-২০৪১ এর মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে চায়।
সুষ্ঠু শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে অধিদপ্তর থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে নিয়মিতকরণ বঞ্চিত কর্মকর্তাদের (প্রভাষকদের) আগামী এক মাসের মধ্যে নিয়মিতকরণ ও স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া কোনো কলেজের শিক্ষকদের চাকরি নিয়মিতকরণ না হওয়া পর্যন্ত সংযুক্তিতে বা অন্য কোনো উপায়ে সরাসরি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগকৃত কোনো কর্মকর্তাকে জাতীয়করণকৃত কোনো কলেজে পদায়ন না করা, ইতোমধ্যে যাদের পদায়ন করা হয়েছে তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে প্রত্যাহার করে নেওয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী ভূতাপেক্ষভাবে কলেজ জাতীয়করণের তারিখ থেকে সব কর্মকর্তাকে নিয়মিতকরণের ব্যবস্থা করা, নিয়মিতকরণ ছাড়া আত্তীকরণ করা কর্মকর্তাদের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া এবং বেতন নির্ধারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলেশন ১৯৯৪ অনুযায়ী কলেজ কর্তৃক দেওয়া বার্ষিক বর্ধিত বেতন যোগ করে বেতন নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হোছাইন মুহাম্মদ জাকির জানান, ১৯৮১ বিধিতে আত্তীকৃত ১৮ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষকদের দায়ের করা একটি মামলার রায়ের অপব্যাখ্যা করে ২০০০ বিধিতে নিযুক্ত আত্তীকৃত শিক্ষকদের অহেতুক ওই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। অথচ তারা কেউ ওই মামলার পক্ষভুক্ত নন এবং ১৯৮১ বিধিতে আত্তীকৃতদের সঙ্গে তাদের বিধিগত কোনো মিল বা সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
এমআইএইচ/আরএইচ