ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে সাহরি-ইফতার নিয়ে বিপাকে হাজারও শিক্ষার্থী

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
জাবিতে সাহরি-ইফতার নিয়ে বিপাকে হাজারও শিক্ষার্থী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) রোজা, ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন দীর্ঘ ছুটি শুরু হয়েছে।

আর এ ছুটিতে বন্ধ রাখা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ডাইনিং।

 

ফলে বিপাকে পড়েছেন হাজারো শিক্ষার্থী। সাহরি-ইফতার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। খাবারের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে বটতলা কিংবা হল সংলগ্ন দোকানগুলোতে। যেখানে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা না করেই হলের ডাইনিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্লাস বন্ধ হলেও অনেক বিভাগে পরীক্ষা ও ল্যাব চলমান। ফলে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হচ্ছে হাজারো শিক্ষার্থীকে। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর টিউশনি রয়েছে। এজন্য দীর্ঘ ছুটিতে যেতে পারছেন না বাড়িতে।  

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৯ দিনের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে এবার ছুটির মধ্যেও সবগুলো আবাসিক হল খোলা রাখা হয়েছে। কিন্তু আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য নির্ধারিত হলের ডাইনিং বন্ধ রাখা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আবাসিক হল আছে ১৭টি। এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ হল ৯টি। আর মেয়েদের জন্য ৮টি।  

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছেলেদের ৯টি হলের একটিতে ডাইনিং ক্যান্টিন কিছুই নেই। বাকি আটটির মধ্যে ৭টির ডাইনিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র শহীদ রফিক জব্বার হলের ডাইনিং খোলা রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রীদের ৮টি হলের মধ্যে পাঁচটিতে ডাইনিং চালু রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বাকি তিনটির।

তবে ডাইনিং চালু থাকা হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ডাইনিংয়ে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া নিম্নমানের খাবার বেশি দামে খেতে হয়।

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী জহির ফয়সাল বাংলানিউজকে বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অসংখ্য শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে। যাদের প্রায় সবাই রোজা রাখে। দুঃখজনক বিষয় হলো এ বৃহৎ সংখ্যক শিক্ষার্থীর সাহরি ও ইফতারের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে করে এ বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী ভুগছে পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের অভাবে। ক্লাস না থাকলেও অনেকের পরীক্ষা আছে। অনেকের টিউশন ও চাকরির পরীক্ষা আছে। তাই তাদের বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে ক্যাম্পাসে। কিন্তু রমজানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খাবারের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। আমাদের দাবি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলের ডাইনিং খোলা রাখুক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাধারণত ক্লাস বন্ধের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং বন্ধ থাকে। আর এটা তো দীর্ঘ ছুটি এজন্য ডাইনিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে রমজানে যেসব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে তাদের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা বলেছি হলের ক্যান্টিন খোলা রাখতে। আর যেসব হলে ক্যান্টিন নেই সেসব হলে কেউ মেস চালু করতে চাইলে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪,২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।