জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপর লীলাভূমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস। সব ঋতুতে মনোহরা এ ক্যাম্পাস।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০২ সালে অধ্যাপক এ আর খান ক্যাসিয়ার বীজ থেকে চারা তৈরি করে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি স্থানে রোপণ করেন। রোপনের কয়েক বছর পরে সেসব গাছে ফুল ফোটে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে ক্যাম্পাসে বছরের এই সময়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে এ ফুল। রাজধানীর গুলশানে এ ফুল দেখে এ আর খান বিশ্ববিদ্যালয়ে চারা রোপণ করেছিলেন বলে জানা যায়।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনের ভেতরে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে ও জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের সামনে কয়েকটি ক্যাসিয়া রেনিজারার গাছ দেখা যায়।
ক্যাসিয়া রেনিজেরা নামটি বাংলাদেশে কম পরিচিত। এটি আমাদের দেশীয় ফুল নয়, এটি একটি জাপানের জাতীয় ফুল। ক্যাসিয়া রেনিজেরার বৈজ্ঞানিক নাম 'বার্মিজ পিংক ক্যাসিয়া' (Burmese Pink Cassia)। এ গাছের উচ্চতা সাধারণত আট থেকে ১০ মিটার হয়ে থাকে। রোপণের চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই গাছে ফুল আসে। বর্ষা ছাড়া বছরের মোটামুটি বেশির ভাগ সময়ই গাছ থাকে পাতাহীন। বসন্তে নতুন পাতা গজানোর পর ফুল ধরতে শুরু করে। প্রথমদিকের ফুলগুলো গোলাপী রংয়ের থাকে পরে ক্রমেই সাদা আকার ধারণ করে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিক থেকে এপ্রিল-মে পর্যন্ত এ ফুলের দেখা মেলে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাপানি ফুলের প্রজাতিটি মোহনীয় সৌন্দর্য ও সৌরভে নজর কাড়ছে সবার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সব ঋতুতে মনোহরা। প্রতিটি ঋতু এখানকার প্রকৃতিকে আলাদা করে সাজায়। তবে বছরের এই সময়টা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যে একটু বাড়তি মাত্রা যোগ করে ক্যাসিয়া রেনিজেরা। ফুল ভালোবাসে না পৃথিবীতে এমন মানুষ খুব কমই আছে। আসলে এ সময়ে ক্যাম্পাসের প্রকৃতি এক নতুন রূপ পায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ক্যাসিয়া রেনিজেরা আমাদের দেশি কোনো ফুলগাছ নয়। এটি মূলত বিদেশি ফুল। বাংলাদেশে সব জায়গায়ই এই ফুলগাছ দেখা যায় না। এ ফুল যখন ফোটে তখন গাছের সব পাতা ঝরে যায় এবং এক অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৩
আরআইএস