জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের দারুণ ব্যস্ততা। নানারকম ছবি আঁকছেন তারা, কেউবা গভীর মনযোগ দিয়ে জলরঙের ছবি আঁকতে মগ্ন। কেউ নকশা করছেন মাটির সরায়। অনেকে মিলে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করছেন বিভিন্ন প্রাণীর কাঠামো।
এ বছর রমজানের কারণে শুধু মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করবে জাবির চারুকলা বিভাগ। এবারের প্রতিপাদ্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান- ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’।
পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি সর্ম্পকে চারুকলা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রীতম কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, এবার রমজান হওয়ায় আয়োজন একটু স্বল্প। আয়োজন কম হলেও রমজানে পহেলা বৈশাখ ভিন্ন রকম আমেজ ছড়াচ্ছে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি, পরিশ্রম করছি। আমরা যথাসময়ে আমাদের সব কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা রাখি। আর আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি, এটা সত্যিই আনন্দের।
বর্ষবরণ উদযাপন কমিটির সভাপতি ও চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর রোজার ছুটি হয়ে যাওয়ায় আমরা শুধু মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করেছি। এবারের প্রতিপাদ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান- 'বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’। শান্তির প্রতীক হিসেবে আমরা কবুতরকে বেছে নিয়েছি। এর পাশাপাশি লোকজ ঐতিহ্যগুলোও বিভিন্ন প্রতীকির মাধ্যমে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। '
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সভাপতি ফারহানা তাবাসসুম বাংলানিউজকে বলেন, 'প্রতি বছরই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ কর্তৃক আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রার পাশাপাশি আরও অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। এবার রমজানের ছুটি হয়ে যাওয়ায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী কম রয়েছে। এবছর আমরা শুধু মঙ্গল শোভাযাত্রাটাই রেখেছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৩
আরআইএস