ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাতীয়করণসহ ৩ দাবি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
জাতীয়করণসহ ৩ দাবি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের

ঢাকা: ২০১২ সালের ২৭ মের আগে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণসহ ৩ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

বুধবার (১০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব দাবি জানান।

তাদের বাকি দুই দাবি হলো- বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উপবৃত্তি ও টিফিন দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। আর সেই শিক্ষাদানের প্রথম ধাপের কাজটা করে থাকেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। কিন্তু সেই শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে সারা বছর রাজপথে থাকতে হয়। যা একটি দেশের জন্য মোটেও কাম্য নয়।

তারা বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, যোগ্যতা থাকার পরও ওই তালিকায় চার হাজার ১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন ভাতা সুবিধা এবং শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি ও টিফিন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শিক্ষকরা আরো বলেন, গত ১৮ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নতুন করে বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় এক হাজার বিদ্যালয় স্থাপনের একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়৷ অথচ ওইসব এলাকায় থাকা চার হাজার ১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চলমান আছে। পাশাপাশি ওই বিদ্যালয়গুলোর জায়গা-জমি, খাজনা খারিজ সরকারের নামে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ 

এই এক হাজার প্রকল্পের পরিবর্তে ওইসব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিফিন দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষকরা।  

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ খোকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আ. স. ম জার্পর ইকবাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফিরোজ উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি শাহনাজ পারভীন, মোহাম্মদ আলী লিটন ও প্রচার সম্পাদক নাসির।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
এসসি/এসআইএস 


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।