ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

প্রজেক্ট কিশোরী: ইবি হলেই স্যানিটারি ন্যাপকিন পাবেন ছাত্রীরা

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
প্রজেক্ট কিশোরী: ইবি হলেই স্যানিটারি ন্যাপকিন পাবেন ছাত্রীরা

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী হলগুলোতে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন (ক্যাপ) এর উদ্যোগে ও এলজি ইলেকট্রনিক্স এর সহযোগিতায় তিনটি ছাত্রী হলে এগুলো স্থাপন করা হয়েছে।

যেখান থেকে ছাত্রীরা নির্দিষ্ট মূল্যে প্যাড সংগ্রহ করতে পারবেন।  

সোমবার (২২ মে) বেলা ১১টায় খালেদা জিয়া হলে ‘প্রজেক্ট কিশোরী’ নামে এটির উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন এলজি ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের হেড অব কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং মাহমুদুল হাসান।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ক্যাপের ক্যানসার এডুকেশন বিষয়ক সম্পাদক সাদিয়া মুবাশশিরা শশী।  

এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি রিয়াদুস সালেহিন ও তাজমিন সুলতানা মিমি, বর্তমান সভাপতি সিয়াম মির্জা, সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম নেছা মীমসহ সংগঠনটির কার্যনির্বাহী সদস্যরা ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনটির সদস্যরা জানান, সামাজিক ট্যাবুর কারণে ঋতুস্রাবের দিনগুলোতে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে গিয়ে সংকোচে ভোগেন নারীরা। যা তাদের জন্য অস্বস্তিদায়কও। এমন সমস্যার সমাধান করতে ক্যাম্পাসের তিনটি ছাত্রী হলে এ ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এটির ব্যবহারের প্রবণতা বাড়াতে উদ্বোধনের সময় ইনস্টল করা প্যাডগুলো বিনামূল্যেই ভেন্ডিং মেশিন থেকে সংগ্রহ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে এরপর থেকে নির্দিষ্ট মূল্যেই প্যাড সংগ্রহ করতে হবে।

সংগঠনটির সভাপতি সিয়াম মির্জা বলেন, শুধু মেয়েদের হল নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একাডেমিক ভবনসহ আরও বেশকিছু স্থানে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করার চেষ্টা করছি। এছাড়া আরও একটা আলোচনা চলছে, যেটি সফল হলে অর্ধেক মূল্যে শিক্ষার্থীরা প্যাড সংগ্রহ করতে পারবে।

হলের ছাত্রীরা বলেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন আমাদের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। দোকানে ন্যাপকিন কিনতে যাওয়ার সময় বেশ লজ্জা ও অসস্তিতে পড়তে হয়। দোকানে কিনতে দেখে অনেকে তো হাসাহাসিও করে। এই মেশিন স্থাপনের ফলে যেকোনো সময়েই আমরা স্যানিটারি ন্যাপকিন নিতে পারবো। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।

খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, মেয়েরা এই বিষয়টি নিয়ে খুবই সংকোচ বোধে থাকে। এটি হলে স্থাপনের ফলে তাদের অনেক উপকার হবে। এটা তাদের জন্য আর্শীবাদ স্বরূপ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।