ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ গুরুত্বারোপ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির উদ্যোগে বাজেট ২০২৩-২৪: শিক্ষা ও কর্মসংস্থান শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টারের পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ।
এম এ মান্নান বলেন, এবারের বাজেটে ভালো-মন্দ দুদিকই আছে। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমেছে এটা ঠিক। কিন্তু স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, সামাজিক সুরক্ষা খাতেও পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হয়। তা না হলে অন্যদের সঙ্গে বৈষম্য হয়ে যাবে। আমাদের উদ্দেশ্য দারিদ্রতা ও বৈষম্য কমিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা। আমরা এখনও পুরোপুরি সফল হইনি। পৃথিবীর কোনো দেশই পুরোপুরি বৈষম্য কমাতে পারেনি। আমেরিকাতেও বৈষম্য আছে।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান পরস্পর আন্তঃনির্ভরশীল। শিক্ষার গুণগতমান ও প্রায়োগিক ক্ষেত্র বাড়ানো গেলে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা যাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে।
মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর এবং এটুআই প্রকল্পের পরিচালক ড. দেওয়ান এম হুমায়ুন কবির। সম্মানিত অতিথি হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, উন্নয়নের গল্প না করে কীভাবে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হবে, সামনে এগিয়ে যেতে হবে সেটি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। সেজন্য আগে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থবিরতা কাটিয়ে সেগুলোকে সচল করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
এসকেবি/আরবি