জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনশনরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন।
সোমবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম অনশনরত কর্মচারীদের দাবি মানার আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করে অনশন ভাঙতে রাজি হন তারা।
উপাচার্য বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। তাদের প্রথম দাবি চাকরি স্থায়ীকরণ, সেটি আমার হাতে নেই, সেটি ইউজিসির হাতে। এজন্য আমি বলেছি পদ আসা সাপেক্ষে তাদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি দেখা হবে। তাদের আরেকটি দাবি স্থায়ীকরণ না হওয়া পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি। বর্তমান বেতনের চেয়ে আরও পঞ্চাশ টাকা বৃদ্ধির জন্য আমি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। তারা আমার ওপর আস্থা রেখে অনশন ভেঙেছেন এজন্য তাদের ধন্যবাদ।
দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী তানভির শাহরিয়ার সোহেল বলেন, চাকরি স্থায়ী করার বিকল্পে আমরা দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি দাবি করেছিলাম। প্রশাসন এ দাবির প্রক্ষিতে দৈনিক মজুরি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা করার আশ্বাস দেন। আমরা উপাচার্যের আশ্বাসে আপাতত অনশন স্থগিত করেছি। তবে এ দাবি না মানলে আবারও অনশন কর্মসূচি পালন করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলের অস্থায়ী কর্মচারী শামসুল আলম বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কয়েকবার দাবি জানিয়েছি। তারা প্রতিবার আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন করেনি। এবারও দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বৃদ্ধি ও ইউজিসি থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ আশ্বাসে আমরা অনশন ভেঙেছি। তবে এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না দেখলে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি চলমান থাকবে।
এর আগে গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন কর্মচারীরা। টানা ১৩ দিনের অবস্থান কর্মসূচির পর রোববার (৩০ জুলাই) থেকে ২ দিন অনশনে বসেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনবার প্রশাসনকে স্বারকলিপি দিলে প্রতিবারই কর্মচারীদের মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
জেএইচ