ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সহকর্মীকে পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে কুপ্রস্তাব পবিপ্রবি কর্মকর্তার!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
সহকর্মীকে পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে কুপ্রস্তাব পবিপ্রবি কর্মকর্তার!

পটুয়াখালী: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সহকর্মীকে পদোন্নতির আশ্বাস ও চাকরিতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান টমাসের বিরুদ্ধে।

বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সংস্থাপন শাখায় কর্মরত রয়েছেন।

এ সংক্রান্ত ১৪ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা বলেছেন, ভয়েসটি তার নয়, তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করেছে।  

ভাইরাল হওয়া অডিওতে শোনা যায়, চাকরিতে পদোন্নতি ও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিতে ডেপুটি রেজিস্ট্রার টমাস ওই নারী সহকর্মীকে পটুয়াখালী বা বরিশালের কোনো বাসা বা হোটেলে নিয়ে একান্তে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেন। একই সময় তিনি শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বলেন। এসময় তিনি অসামাজিক ও কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তার মাধ্যমে ওই নারী সহকর্মীকে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। তবে ওই নারী তার অনৈতিক প্রস্তাব নাকচ করে দেন।  

স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মীর সঙ্গে ঘটনার পুরোটার সত্যতা স্বীকার করে ওই নারী এ বিষয়ে কথা বলতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।
 
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান টমাস বলেন, এ ঘটনা পুরো ষড়যন্ত্রমূলক। এর আগে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস ও প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে ধরা পড়েছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে ছিলাম। তারাই আমার বিপক্ষে এখন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।  

পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, ভাইরাল হওয়া অডিওটি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে সবার জন্য নিরাপদ রাখতে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি ও অভিযোগ বক্স স্থাপন করা আছে। আজ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ তাতে পাইনি।

তবে একাধিক নারী কর্মী বলেন, এসব ঘটনার উপযুক্ত বিচার না হলে এ ক্যাম্পাস নারীদের জন্য প্রতিকূল হয়ে যাবে। নারীদের জন্য কর্মস্থলে যারা অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি করছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত। কেউ তাদের শেল্টার দিলে তাদেরও বিচার হোক।

দেশে প্রচলিত আইন ও হাইকোর্টের আদেশে নারীর জন্য নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে যৌন হয়রানির বিষয়ে কর্মক্ষেত্রের শৃঙ্খলাবিধি অনুসারে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।