ঢাকা: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোতে অডিট আপত্তি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, নবম পে-স্কেল, সাধারণ আর্থিক নীতিমালা, রাজস্ব নীতিমালা, আর্থিক অনুমোদন ক্ষমতার যথার্থ প্রয়োগ এবং খরচের সঠিকভাবে বিল উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের।
বুধবার (৩০ আগস্ট) ‘অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম (এএমএমএস) ২.০’ সফটওয়্যার ব্যবহার বিষয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রেজাউল করিম হাওলাদার স্বাগত বক্তব্য দেন।
প্রশিক্ষণে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুনিল কুমার সিংহ এবং এএমএমএস সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মো. শরিফুল ইসলাম।
অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট আপত্তি যেন না হয় সেজন্য সরকারের ক্রয় নীতি অনুসরণ, বিলগুলোর সঙ্গে ভাউচার ও ভ্যাট-ট্যাক্স যথানিয়মে পরিশোধের তথ্য, বেতন-ভাতারক্ষেত্রে জাতীয় পে-স্কেল মেনে চলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে এবং অডিট আপত্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে আর্থিক নিয়মাবলীগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি জোরদার এবং গতিশীলতা বাড়বে। অডিট প্রক্রিয়া আরও কম সময়ে স্বল্প খরচে করা সম্ভব হবে এবং অডিট আপত্তির সংখ্যাও কমে আসবে।
ইউজিসির উপপরিচালক (অডিট) মো. আব্দুল মান্নানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেল প্রধান ও অডিট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
এমআইএইচ/আরআইএস