শাবিপ্রবি (সিলেট): বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) র্যাংকিংয়ে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৭.৯১ স্কোর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।
এতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট-২৬তম) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি-৩য়) পেছনে ফেলেছে শাবিপ্রবি।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আওতাধীন দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এপিএ -এর অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডগুলো ৬টি ক্যাটাগরিতে মূল্যায়ন করে এপিএ র্যাংকিং প্রকাশ করেছে ইউজিসি।
ছয়টি ক্যাটাগরির মধ্যে কৌশলগত উদ্দেশ্যেগুলোতে ৭০, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনায় ১০, ই-গভর্ন্যান্স/উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনায় ১০, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা কর্মপরিকল্পনায় ৪, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনায় ৩, তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনায় ৩ মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে এ র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়। এতে শতকরা ৯৭.৯১ স্কোর করে র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে শাবিপ্রবি। এ র্যাংকিংয়ে শতভাগ স্কোর করে প্রথমে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শতকরা ৯৫.৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাবি।
এ বিষয়ে শাবিপ্রবির এপিএ কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ডেপুটি রেজিস্ট্রার আ ফ ম মিফতাউল হক বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও সার্বিক নির্দেশনায় আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের কাজগুলো করে যেতে। এতে আমাদের কাজের প্রতিদান স্বরূপ এ অর্জন করতে পেরেছি। আগামীতে আমরা আরো ভালো অবস্থানে যাব, সে প্রত্যাশা রইল।
সার্বিক বিষয়ে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গতবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সমস্যার কারণে এপিএ মূল্যায়নে একটু পিছিয়ে ছিলাম। তবে এবার ইউজিসির নির্ধারিত সব কাজ সম্পাদন করে আমরা শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছি। এর পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবার অবদান ছিল। এ ধারাবাহিকতা থাকলে আশা করি আগামীতে আমরা প্রথম হবো। পরিশেষে এপিএ কমিটির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান উপাচার্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
এসআরএস