ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পরীক্ষায় অনিয়ম, ১৪ শিক্ষককে শোকজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
পরীক্ষায় অনিয়ম, ১৪ শিক্ষককে শোকজ ছবি: সংগৃহীত

বরগুনা: বরগুনার আমতলীতে ক্লাস্টারভিত্তিক নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা না নিয়ে হাতে তৈরি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ায় ১৪ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের।

 

নোটিশপ্রাপ্তারা আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ১৪ জন।  

তারা হলেন - প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন খান, সহকারী শিক্ষক সুনীল কংশ বণিক, নার্গিস আক্তার, নাসিমা, ফাতেমা, লাভলী, কুলসুম, নাজমা, জোহরা ও নার্গিস নিরু, পাপড়ী, খাদিজা আক্তার রুবী, সাজিয়া শিল্পী।

১৪ শিক্ষককে শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম।  

তিনি বলেন, আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা না নিয়ে তারা নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নিয়েছেন। প্রশ্নপত্র পরিবর্তনের ক্ষমতা তাদের কে দিয়েছে? প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রধান শিক্ষকসহ ১৪ শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব পাওয়ার পরে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট থেকে আমতলী উপজেলার ১৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্ধ-বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়। ওই পরীক্ষায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্র তৈরি করে সেই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে তাদের হাতে তৈরি করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়।  

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালে ওই বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম, সহকারী শিক্ষা অফিসার আল-আমিনকে আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠান ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পরদিন বুধবার (৩০ আগস্ট) ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ওই বিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষককে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়।  

শোকজের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানান, ১৪ শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এদিকে ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন শোকজপ্রাপ্ত আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন খান।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
এসএএইচ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।