ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে আবারও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে কে বা কারা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় এ বিস্ফোরণ ঘটে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. লিটন কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কয়েকজন মোটরসাইকেল দিয়ে এসে বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়। এদের কাউকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তবে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ শনাক্ত করছি। শিগগিরই তাদের শনাক্ত করতে পারব।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল রিয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা সব জোর দিয়ে চালু রাখা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারছে না। সামনে ক্যাম্পাসে যাওয়াই বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, এতোদিন ক্যাম্পাসের বাইরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হতো। ক্যাম্পাসে গেলে নিজেদের নিরাপদ মনে হতো। দ্বিতীয়বারের মতো ককটেল বিস্ফোরণের পরে তা আর মনে হচ্ছে না।
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মিছিল করেছে ছাত্রলীগের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, বিগত ১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় ছিল। শিক্ষাঙ্গনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে নষ্ট করতে একদল মাঠে নেমেছে। ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে ছাত্রলীগের নাটক বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আমরা এখনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে আমরা জানি না। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ছাত্রলীগের সাজানো একটি নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৩
এসএএইচ