ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ইংরেজিতে ‘খারাপ’ করায় পিছিয়ে গেল যশোর বোর্ড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
ইংরেজিতে ‘খারাপ’ করায় পিছিয়ে গেল যশোর বোর্ড যশোর বোর্ড

ঢাকা: চলতি বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। আর পিছিয়ে রয়েছে যশোর বোর্ড।

 

রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা আড়াইটায় সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।  

এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।  

শিক্ষামন্ত্রী জানান, কারিগরি বোর্ডে সর্বোচ্চ পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বরিশালে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহীতে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সিলেটে ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং যশোরে ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।   

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যশোর বোর্ডে পাসের হার সব থেকে কম। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চান। এ সময় তিনি যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যানকে পাস করার কারণ জিজ্ঞেস করেন। যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আহসান হাবীব বলেন, আমাদের বোর্ডে ইংরেজিতে খারাপ হওয়ার কারণে পাসের হার কমেছে। ইংরেজির প্রশ্ন কিছুটা কঠিন হয়েছিল বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।

আন্তঃবোর্ড থেকে পাওয়া বিষয়ভিত্তিক তথ্যে দেখা গেছে, যশোর বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অন্যান্য বোর্ডগুলো ইংরেজিতে ৮০ শতাংশের ওপরে থাকলেও কেবল যশোর বোর্ড কম। এবছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। গতবছর যা ছিল ১ লাখ ৬২ হাজার ৮২। সেই হিসাবে মোট জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৭৮৭ জন।

জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৩১ হাজার ৭৫২ জন, রাজশাহীতে ১১ হাজার ২৫৮ জন, যশোরে ৮ হাজার ১২২ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৭ হাজার ৯৭ জন, কারিগরিতে ৭ হাজার ৯৭৭ জন, দিনাজপুরে ৬ হাজার ৪৫৯ জন, চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৩৩৯ জন, কুমিল্লায় ৫ হাজার ৬৫৫ জন, বরিশালে ৩ হাজার ৯৯৯ জন, ময়মনসিংহে ৩ হাজার ২৪৪ জন এবং সর্বনিম্ন সিলেটে ১ হাজার ৬৯৯ জন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২১ সালে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন, ২০২০ সালে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন, ২০১৯ সালে ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। আর চলতি বছরে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীদের জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা বেশি। ৪৩ হাজার ২৩০ জন ছাত্র এবং ৪৯ হাজার ৩৬৫ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। এবছর বিদেশের আটটি কেন্দ্রে মোট ৩২১ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে পাস করেছে ৩০৩ জন। পাসের হার শতকরা ৯৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।