ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

তিনের সমন্বয়ে সেরা সাফল্য: রাজউক মডেল কলেজ অধ্যক্ষ

জেসমিন পাঁপড়ি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২
তিনের সমন্বয়ে সেরা সাফল্য: রাজউক মডেল কলেজ অধ্যক্ষ

রাজউক মডেল কলেজ থেকে: এইচএসসিতে দ্বিতীয়বারের মতো দেশ সেরা হয়েছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ।

এ সাফল্যের পিছনে তিনটি কারণ আছে বলে মনে করেন, কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার মোহা. গোলাম হোসেন সরকার।



ফলাফল প্রকাশের পর তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এ ফল এসেছে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের কাছে যা চেয়েছি, তারা তা করে দেখিয়েছে। আমাদের শিক্ষকরাও অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন সাফল্য ধরে রাখার জন্য। অভিভাবকদেরও সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছি। ’’

তিনি বলেন, ‘‘কলেজের গর্ভনিং কমিটির চেয়ারম্যান বর্তমান শিক্ষাসচিব সব সময় চেয়েছেন, ভালো ফলাফল করতে হবে, সবার শীর্ষে থাকতে হবে। কলেজের প্রত্যেক স্তরের কার্যক্রমে শিক্ষক-ছাত্র-অভিভাবকদের সম্পৃক্ত রাখি। মতবিনিময় সভায় অভিভাবকদের ডাকা হয়। একজন ছাত্র অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবকদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেক শিক্ষক জবাবদিহি করতে বাধ্য। ’’

তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোচিংয়ের জন্য শিক্ষক-ছাত্রদের নিষেধ করি। তবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের পৃথকভাবে পড়ানোর জন্য শিক্ষকদের বলা হয়। তবে শিক্ষকরা নীতি বিবর্জিত কোচিং করান না। যদি কেউ করেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কোনো শিক্ষক তাদের নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে কোচিং করিয়েছেন- এমন অভিযোগ কোনো শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবক দেননি। ’’

তিনি জানান, ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজে কোনো ধরনের সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হয় না। এমনকি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও তাই। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এমনকি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সুপারিশও গ্রহণযোগ্য হয় না।

অধ্যক্ষ জানান, ‘‘আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠান নই। কিন্তু বেতন কমিয়েছি। এখানে সেনাপ্রধানের ছেলে থেকে শুরু করে চা বিক্রেতার ছেলেরাও পড়ে। এখানে মেধাই আসল। প্রতি বছর ১০ জন মেধাবীকে ফ্রি পড়ানো হয় এবং ২৫ লাখ টাকা মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়। ’’

পিছিয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে তিনি বলেন, তাদের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণ করতে হবে। তবেই ভালো ফল আসবে। অভিভাবকদের সঙ্গে ছেলে-মেয়েদেরদের জেনারেশন গ্যাপ রয়েছে। এ গ্যাপ কমিয়ে আনতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে ছেলে-মেয়েদের আধুনিক প্রযুক্তির সেবা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই মেধাগুলোকে লালন-পালনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করতে। ভালো ফলাফলের দায়িত্ব কেবল ছাত্রদের নয়, অভিভাবক-শিক্ষকদেরও। আমরা চাই, ভালো ফলাফল করে রাজউকের ছেলেরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে সমাজ সেবায় ছড়িয়ে পড়ুক। ’’

এ বছর সব মিলিয়ে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে ১ হাজার ১৭৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১ হাজার ১১১ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এবার এ কলেজের জিপিএ প্রাপ্তির হার ৯৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর পাসের হার শতভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২
জেপি/এমআইএইচ/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।