ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

রাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
রাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

রাবি নির্মাণাধীন ভবন ধসের ঘটনায় আহত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান, কাজের সুষ্ঠু পরিবেশও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়িত্ব অবহেলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নির্মাণাধীন ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত হওয়ায় পুনরায় ভবনের গুণগতমান পরীক্ষার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।



সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাব্যাপী এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

রাবি শিক্ষার্থী আমান উল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচি চলাকালে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন নির্মাণের মান ঠিক আছে কি না, ভবনটি টিকসই হবে কি না এ বিষয়ে আমরা সন্দিহান। কারণ ইতোমধ্যে একটি ভবন ধসে পড়েছে। আমাদের কাছে এ ভবনটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে। ভবন নির্মাণ হওয়ার পর আবার ভেঙে পড়তে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। তাই বুয়েট থেকে বিশেষজ্ঞ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এনে এর তদন্ত সাপেক্ষ কাজ শুরু করা হোক। এছাড়াও এ ভবন ধসের ঘটনায় যেসব শ্রমিক আহত হয়েছে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্ষতিপূরণ দিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।

পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আমান উল্লাহ বলেন, রাবির নির্মাণাধীন হল ভেঙে পড়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এই ঘটনার কারণে আমরা পুরো ভবনে নিরাপত্তা নিয়ে চরমভাবে শঙ্কিত। এই হল শিক্ষার্থীদের আবাসের জন্য নিরাপদ কি না এটা এখন একটা বড় প্রশ্ন। তাই আমরা চাই ভবন ঝুঁকিপূর্ণ কি না তা নিশ্চিত করতে বুয়েট থেকে এক্সপার্ট দিয়ে তা পরীক্ষা করতে হবে। সেই সাথে যতদিন তদন্ত চলবে ততদিন যেন কাজ বন্ধ থাকে।

রাবি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ভয়াবহ ভবন ধসের ঘটনাকে আমরা কোনোভাবেই দুর্ঘটনা বলতে পারি না এটি একটি চরম গাফিলতির ফল। দুর্নীতির ফলেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। যেসব কোম্পানি এসব কাজ করছেন তারা বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের সঠিক নিয়মনীতি অনুসরণ করছেন না। আর নামমাত্র তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়সারা কাজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ধরনের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে গেলে সেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের রাখতে হয়। আমরা চাই সঠিক কমিটি করে ভবনের কাজ শুরু হোক।

রাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনভাবে ভবন ধসের ঘটনা মর্মান্তিক। মানুষ একটি রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মানুষের প্রাণকে কতটুকু মূল্য দেই? আজ যারা আহত হলেন তারা শ্রমিক না হয়ে শিক্ষার্থী হলে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে যেত। আর গাফিলতি ছাড়া একটি ভবন ধসে পড়ে না।

তদন্ত কমিটির একটা রিপোর্ট ছাড়া ওই ভবনের কোনো কাজ আর চলতে পারে না। কিন্তু কাজটি চলছে। কোনো সভ্য দেশে এমনটি কাম্য নয় বলেও মন্তব্য করেন, এই রাবি শিক্ষক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।