ঢাকা: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দারিদ্র্য যেন কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ইমদাদ-সিতারা খান ফাউন্ডেশন বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা, অংশীজন ও বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সারা দেশে শিক্ষার্থীদেরকে মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছেন, যে কারণে ক্রমাগত ঝরে পড়ার হার কমে যাচ্ছে। গত দুই বছর ধরে যেভাবে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এসেছি, তাতে ঝরে পড়া একদমই কমে যাচ্ছে।
নতুন পাঠ্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে যখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম, আমি সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছি, প্রতিদিন ৫০০ জনের সঙ্গে জুম মিটিং করেছি টানা বিয়াল্লিশ দিন এবং তখন প্রত্যেকের কাছ থেকে একটি কথাই আমি শুনেছি, যেই শ্রেণি কক্ষগুলোতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। সেই শ্রেণি কক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি শতভাগ এবং তাদেরকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। তারা শ্রেণি কক্ষে আসছে, সেখানে পড়ছে ও ভালো করছে, আনন্দের সঙ্গে শিখছে।
তিনি বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী যারা আছে যাদের উচ্চশিক্ষার পথে দারিদ্র হয়তো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই শিক্ষার্থীদের পাশে আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে। তারা যেন উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, যে সক্ষমতা আছে, যার যা মেধা আছে, সে অনুযায়ী তারা যেন পারে।
মন্ত্রী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনহিতকর কর্মসূচি সম্পর্কে দিপু মনি বলেন, এ মন্ত্রণালয় থেকে নানা ধরনের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আমি কিডনি ডায়ালাইসিস সুবিধা সহজলভ্য করার জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছি, সে লক্ষ্যে রিসোর্স ম্যাপিং চলছে।
এছাড়া বয়স্কদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনেও প্রকল্প গ্রহণ করা হবে এবং ঢাকাসহ অন্যান্য মহানগরীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত রোগী ও অ্যাটেন্ডডেন্টদের থাকার জন্য ডরমিটরি স্থাপনের জন্যও কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
এরপর মন্ত্রী মেধাবী শিক্ষার্থীরা হাতে বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
জিসিজি/এসআইএস