ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদী প্রচারণা চলছে: শিক্ষামন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৪
কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদী প্রচারণা চলছে: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সদস্য সংখ্যা কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক বেশি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সেই সব প্রতিষ্ঠানে ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ উদযাপন করতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সেখানে আবার গোপনে জঙ্গিবাদী প্রচারণা ঠিকই চলছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞান চর্চা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মলিকুলার বায়োলজি বা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পরও যখন কেউ উগ্র, গোঁড়ামির চর্চা করবে, প্রগতিশীলতাকে প্রতিহতের চেষ্টা করবে, প্রকৌশলী হয়েও যখন বিজ্ঞানের চর্চা না করে শুধু প্রযুক্তির থিউরি মুখস্ত করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার মানসিকতা যাদের থাকে, সেখানে কিন্তু সমস্যা।

বুয়েটকে ইঙ্গিত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান পড়লেই যে বিজ্ঞান মনস্তকতা সৃষ্টি হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। আমাদের দেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিজ্ঞান পড়েও প্রচণ্ড গোঁড়ামি এবং কূপমন্ডুকতায় ভরা মানসিকতা। কিন্তু আমরা এখানে প্রাতিষ্ঠিানিকভাবে, আমি বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম বলছি না, আপনারা জানেন আমি কী বলছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির কথা বলা হলেও সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধর্মীয় রাজনীতির চর্চা করা হচ্ছে। কিন্তু অন্য রাজনীতি? রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না, কিন্তু ইসলামিক স্টেটে যে রকম উন্মাদনা অর্জন করার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই ধরনের হিজবুত তাহরীরের সংখ্যা কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে অনেক বেশি। সেখানে আবার রাজনীতি করতে দেওয়া হয় না। প্রগতিশীল কোনো কিছু চর্চা করতে দেওয়া যাবে না। ৭ মার্চ উদযাপন করতে দেওয়া যাবে না, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ করা যাবে না। কিন্তু সেখানে আবার গোপনে জঙ্গিবাদী প্রচারণা ঠিকই চলছে। কিন্তু সেসব প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তি পড়ানো হচ্ছে। প্রযুক্তি পড়ানো হলেই যে মানুষ বিজ্ঞানমনস্ক হয়, এটা কিন্তু সত্য নয়।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যে শুধুমাত্র বিজ্ঞান পড়লেই বিজ্ঞানমনস্ক হবে বা তার যে মানসিক পরিবর্তন আসবে, তার কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা নেই।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ, বাংলা একাডেমির ফেলো প্রফেসর রতন সিদ্দিকী, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত হোসেন মোল্ল্যা বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৪
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।