ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৮ জুন ২০২৪, ১০ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নিয়ে ঢাকায় ছাত্রলীগ নেতারা, মাওয়ায় ইলিশভোজ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নিয়ে ঢাকায় ছাত্রলীগ নেতারা, মাওয়ায় ইলিশভোজ 

জামালপুর: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবাস নিয়ে জামালপুর থেকে  ঢাকায় গেলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৫ নেতা।  

তারা ঢাকায় পৌঁছে দেখা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে।

এরপর সেই মাইক্রোবাস নিয়ে চলে যান মাওয়া। সেখানে গিয়ে ইলিশভাজা দিয়ে চলে তাদের রসনাবিলাস সাধন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নিয়ে পাঁচ ছাত্রের ঢাকা গমনের বিষয়ে কিছুই জানে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  

গতকাল বুধবার ভোরে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়কসহ পাঁচ নেতা কর্মচারীদের জন্য ব্যবহৃত মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আজ বৃহস্পতিবার এখনো ক্যাম্পাসে ফিরেনি মাইক্রোবাসটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবাসে ঢাকায় যাওয়ো ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কাউসার আহাম্মেদ স্বাধীন, যুগ্ম আহ্বায়ক তাইফুল ইসলাম পলাশ, মোকাররম হোসাইন, নাজমুল ইসলাম, এন সাকলাইন ও সদস্য ইখতিয়ার উদ্দিন ইমন।  

ছাত্রলীগ নেতারা তাদের নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলে কিছু ছবি ও রিল ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যায়, মাইক্রোবাসটিতে তারা সবাই বসে আছেন। এছাড়া মাওয়া ঘাটে ইলিশ ভাজা খেতে গিয়েছেন তারা এমন ছবিও দেখা গেছে।  

জানা গেছে, ঢাকা মেট্রো চ-৫৬-৩৮৭৩ নম্বরের ওই মাইক্রোবাসটি নিয়ে গেলে সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের জন্য আলাদা আরেকটি মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের দায়িত্বরত শিক্ষক পার্থ সারথী দাস বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। আমাকে কেউ জানিয়ে গাড়িটি নেয়নি। তবে কিছুক্ষণ আগে শুনলাম গাড়িটি তারা (পাঁচ ছাত্রলীগ নেতা) নিয়ে গেছে। এটি তারা করতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবাসটির চালক বাবু মিয়া বলেন, আমি জানি না, বাড়িতে আছি। গাড়ি তো বিশ্ববিদ্যালয়েই রাখা হয়েছে।  

ওইদিন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যে মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়েছিল ওই চালক রাব্বি বলেন, আমি তো কাল মেলান্দহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জামালপুরে স্যারদের নামিয়ে দিছি। বাবু ভাইয়ের গাড়ি নাকি ছিল না, তাই আমাকে ভাড়া করেছিল।  

পরিবহনটি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউসার আহাম্মেদ স্বাধীন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোকাররম হোসাইনের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তারা রিসিভ করেনি।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস.এম.ইউসুফ আলী খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। আর ভিসি অধ্যাপক কামরুল আলম খানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি বিকেলে বিষয়টা দেখবেন বলে কল কেটে দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।