ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২, ০৬ মে ২০২৫, ০৮ জিলকদ ১৪৪৬

শিক্ষা

বিকেলে গণপিটুনি, রাতে জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু 

করেসপন্ডেন্ট, সাভার (ঢাকা) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৪৪, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
বিকেলে গণপিটুনি, রাতে জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু  নিহত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম মোল্লা

সাভার: গণপিটুনির শিকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম মোল্লা (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।  

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এদিন রাত ১২ টার দিকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক।  

নিহত শামীম মোল্লা আশুলিয়ার আশুলিয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া মোল্লাবাড়ীর ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা জড়িত থাকার অভিযোগে একদল শিক্ষার্থী তাকে আজ বিকেলে আটক করেন। পরে গণপিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা গেট (প্রান্তিক গেট) সংলগ্ন একটি দোকানে শামীম মোল্লার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন একদল শিক্ষার্থী। পরে তাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেয় তারা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাকে নিরাপত্তা শাখায় নেন। সেখানেও শিক্ষার্থীরা তাকে আবার গণপিটুনি দেন।

উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলাও রয়েছে। এছাড়া গত ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানরত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় সামনে থেকে শামীম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, গণপিটুনির খবর পেয়ে নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩৯  ব্যাচের এক সাবেক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসে নেন। পরবর্তীতে পূর্বের মামলায় তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের একটি টিম পাঠাতে বলা হয়। পৌনে রাত ৯ টার দিকে মারধরের শিকার এক যুবককে উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করার হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। প্রাথমিকভাবে মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত নিশ্চিত হওয়া যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।