ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

শিক্ষা

চূড়ান্ত শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন রাবির দুই শিক্ষক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
চূড়ান্ত শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন রাবির দুই শিক্ষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | ফাইল ছবি

রাজশাহী: এবার চূড়ান্ত শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অভিযুক্ত দুই শিক্ষক। ঘটনা তদন্তের পর দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তাদের চূড়ান্ত শাস্তি দিতে এরই মধ্যে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষক হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অনীক কৃষ্ণ কর্মকার এবং আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত দুই শিক্ষককে চূড়ান্ত শাস্তি দিতে কমিটি গঠন, সাবেক এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বহাল, এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার ও তিন শিক্ষককে পরীক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য বিরত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আগের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল রাখা হয়েছে।

অভিযুক্ত এই দুই বিশ্বিবদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর আইনের ৫৫ (৩) ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত শাস্তি দিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পৃথক আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের স্নাতকোত্তরের নিবন্ধন বাতিলের মাধ্যমে ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে তার ছাত্রত্ব পুনর্বহাল ও তার পরীক্ষার অপ্রকাশিত ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ৪৬১তম সভায় রফিকুলের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছিল।

এ ছাড়া জনসংযোগ দপ্তরের অপর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকারের প্রসঙ্গে ৪৬১তম সিন্ডিকেট সভার ১৩৭ নম্বর সিদ্ধান্ত বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কারণ কূটকৌশলের কারণে বিনা অপরাধে সাজা ভোগ করেছেন অধ্যাপক শামসুল আলম সরকার। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের শিক্ষক আব্দুল হক, আলী আকবর ও আশরাফুজ্জামান খানকে আগামী পাঁচ বছর পরীক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর ওই সিদ্ধান্তে অধ্যাপক শামসুল আলম সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় তার প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।