ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৩ জুন ২০২৫, ০৬ জিলহজ ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাকায় প্রাথমিকের আরও ৫ দৃষ্টিনন্দন ভবন উদ্বোধন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৪৫, জুন ১, ২০২৫
ঢাকায় প্রাথমিকের আরও ৫ দৃষ্টিনন্দন ভবন উদ্বোধন

ঢাকা: শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটানো, শতভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীতে আরও পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন বহুতল নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার রোববার (১ জুন) ঢাকায় উত্তরার আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।



দৃষ্টিনন্দন বাকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনগুলো, মিরপুর-১ নম্বর সেকশনের ওয়াক আপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন; মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের খলিলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন; উত্তরার দিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন এবং গেন্ডারিয়ার ধুপখোলা মাঠ সংলগ্ন কোব্বাদ সরদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন।

এ পাঁচটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ৯৬ লাখ আট হাজার টাকা। পাঁচটি ভবনের মধ্যে ছয়তলা ভিতবিশিষ্ট চারটি চারতলা ভবন এবং একটি তিনতলা ভবন। এগুলোতে শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক কক্ষ মিলে ৭৫টি কক্ষ রয়েছে। ওয়াস ব্লক রয়েছে ৮৯টি। বিদ্যালয়গুলোর নতুন ভবনে ছাত্র-ছাত্রীর মোট ধারণক্ষমতা দুই ৬৯৬ জন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আক্তার খান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ ও প্রকল্প পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সমাজের সন্তানদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক স্কুল নির্মিত হচ্ছে। শিশুদের শিক্ষার জন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও কমিউনিটির নেতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা শুধু বই পড়ে শেখে না, তারা স্কুলের পরিবেশ ও কর্মসূচি থেকেও শেখে। সবচেয়ে বেশি শেখে তারা অভিভাবকদের কাছ থেকে, কারণ তারা তাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটায়। তাই শিক্ষার মান উন্নয়নে শুধু ভালো ভবন হলেই হবে না, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের লক্ষ্য সামান্য।

প্রাথমিক পাস করার পর একজন শিশু সাবলীলভাবে মাতৃভাষায় পড়তে, বুঝতে এবং লিখতে পারবে। যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ করতে পারবে-এটুকুই। এ লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা এর আগে ২৬ ডিসেম্বর দৃষ্টিনন্দন পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধন করেন।  

সেগুলো, মিরপুর এক নম্বর সেকশনের মাজার রোড সংলগ্ন লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনল; মিরপুর-৭ নম্বর সেকশনের আনন্দ নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন; ঢাকার বাড্ডার আলাতুনন্নেসা হাই স্কুল সংলগ্ন ভোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন; ডেমরার কোনাপাড়া রোডের পাড়াডগার মান্নান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন এবং গুলশান মাস্টারবাড়ী বাজার-আটিপাড়া রোড সংলগ্ন মুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ (প্রথম সংশোধিত)' প্রকল্পের আওতায় ঢাকার ১২ থানায় ১৩২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন পুনঃনির্মাণ, ১০ মেরামত এবং ১৪ নতুন বিদ্যালয় ভবন (উত্তরাতে তিনটি ও পূর্বাচলে ১১) স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। এ প্রকল্পের মোট বরাদ্দ এক হাজার ৩৭২ কোটি ৮২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

স্কুলগুলোর বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং নির্মাণকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।