ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩২, ২৬ জুন ২০২৫, ০০ মহররম ১৪৪৭

শিক্ষা

সিলেট বোর্ডে এবার পরীক্ষায় বসছে ৬৯ হাজার ৯৩১ জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১৭, জুন ২৫, ২০২৫
সিলেট বোর্ডে এবার পরীক্ষায় বসছে ৬৯ হাজার ৯৩১ জন সিলেট বোর্ড

সিলেট: সিলেটসহ সারাদেশে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ৩২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৯ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী ৮৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ২৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ৪১ হাজার ৯১৬ জন। এবছর নিয়মিত ৬০ হাজার ৮৪৪ জন, মানোন্নয়ন ৩০, প্রাইভেট ১১ এবং অনিয়মিত ৯ হাজার ৩৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

বোর্ডের অধীনে গত বছর (২০২৪ সাল) পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩ হাজার ১৬৫ জন। সে হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ১৩ হাজার ২৩৪ জন। এর আগে ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩ হাজার ১২৩ জন।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের তথ্যমতে, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেছিল ৭৯ হাজার ৫৫৬ জন। তবে রেজিস্ট্রেশনকৃত ৯ হাজার ৬২৫ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসছেন না।

এবার বিজ্ঞান বিভাগে ১২ হাজার ৯৮০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৪০৮ এবং ছাত্রী ৭ হাজার ৫৭২ জন। মানবিক বিভাগে ৪৭ হাজার ৭২৩ জন। যার মধ্যে ছাত্র ১৮ হাজার ১৬৬ এবং ছাত্রী ২৯ হাজার ৫৫৭ জন। এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৯ হাজার ২২৮ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ৪৪১ এবং ছাত্রী ৪ হাজার ৭৮৭ জন।

বিভাগওয়ারি হিসেবে সিলেটে ৩১ হাজার ১৬১ জন, সুনামগঞ্জে ১২ হাজার ৭২৮ জন, মৌলভীবাজারে ১৪ হাজার ২০৯ জন এবং হবিগঞ্জে ১১ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসবেন।

শিক্ষাবিদদের মতে, এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর ঝরে পড়া দেশের ভবিষ্যৎ মানবসম্পদে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। এক বছরে এত বড় সংখ্যায় পরীক্ষার্থী কমে যাওয়া একটি বড় সতর্কবার্তা। অভিভাবক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

এ বিষয়ে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বিদেশমুখী প্রবণতা এবং অনেক কলেজে এইচএসসি শ্রেণিতে ভর্তি না হওয়ায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। সিলেট অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদেশে পড়ালেখার প্রবণতাও বেড়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর এইচএসসিতে সিলেট বোর্ডে ৮৩ হাজার ১৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭১ হাজার ১২ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

এনইউ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।