ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাঠাগারে ‘জুলাই সেন্টার’ উদ্বোধন করা হয়েছে। এই সেন্টারে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে লিখিত বই, ডকুমেন্টারি, গ্রাফিতি, স্লোগানসহ বিভিন্ন স্মারক রাখা হবে।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ এই সেন্টার উদ্বোধন করেন। এ সময় হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ও আবাসিক শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তব্যে অধ্যাপক মামুন আহমেদ সবাইকে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জুলাইয়ের যে চেতনা, সেটিকে জীবন্ত রাখতে না পারলে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একদিকে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অন্যদিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রতিষ্ঠান। ফলে দুটির মধ্যে সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। জুলাইয়ের চেতনাকে একাডেমিয়ায় চর্চায় রাখতে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি প্রত্যেকটি হল এবং বিভাগে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানকে জীবন্ত করে রাখতে এবং আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এ ধরনের সংগ্রহশালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ এবং আহত হয়েছেন, তাদের চেতনাকে ধারণ করে আমরা যদি বাংলাদেশকে নির্মাণ করি, তাহলে তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
হলের আবাসিক শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম বলেন, একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ে তোলা জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যয় ছিল। সেই জুলাইকে ছড়িয়ে দিতে আমরা এই সেন্টার তৈরি করেছি।
তিনি বলেন, আমরা এটিকে জুলাই কর্নার নামকরণ করিনি। আমাদের চিন্তা ছিল, জুলাইকে আমরা কর্নার হতে দিব না। আমরা এটিকে সেন্টারে রাখব। সেকারণে এটির নামকরণ ‘জুলাই সেন্টার’ করা হয়েছে। এখানে ২০টির মতো বই আপাতত রাখা হয়েছে। সামনে এই সংগ্রহ আরও বাড়বে।
এফএইচ/এমজে