ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাঠ্যবই পায়নি বান্দরবানের সব মাদ্রাসা শিক্ষার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৪
পাঠ্যবই পায়নি বান্দরবানের সব মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ছবি: (ফাইল ফটো)

বান্দরবান: বছরের শুরুতেই স্কুল পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নতুন বই পাওয়ার উল্লাসে মেতে উঠলেও মাদ্রাসায় পড়ুয়া সব শিক্ষার্থীদের হাতে এখনো পৌঁছেনি বিনামূল্যের পাঠ্যবই।

বৃহস্পতিবার বান্দরবানের ইসলামী সিনিয়র মাদ্রাসা, ফাতেমা তুজ-জোহরা মাদ্রাসা, ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র, আলীকদম দাখিল মাদ্রাসা, নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসাসহ জেলা সদর এবং উপজেলাসমূহের বিভিন্ন মাদ্রাসায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবতেদায়ী ও দাখিল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে এখনও পাঠ্যবই পৌঁছেনি।



বান্দরবান ইসলামী সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক বাংলানিউজকে জানান, মাদ্রাসায় এবতেদায়ী স্তরে প্রথম, দ্বিতীয় এবং পঞ্চম শ্রেণীর কোনো বই এখনও বিতরণ করা হয়নি। দাখিল স্তরের ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণীর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।

লামা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জাফর উল্লাহ জানান, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা কোরআন মজিদ শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আরবী শিক্ষা এবং নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ইসলামের ইতিহাস বই পায়নি।
 
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ এবং মাধ্যমিক স্তরের বই মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে বিতরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসার ক্ষেত্রে দাখিল ও এবতেদায়ী দুটি স্তরেরই পাঠ্যবই বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের হাতে।

বান্দরবান জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষকদের অভিযোগ, জেলা পর্যায়ে দায়িত্বরত মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা যথাযথ মনিটরিং না করায় নতুন বছরের ১৫ দিন অতিক্রান্ত হলেও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে পাঠ্যবই প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

এছাড়া বান্দরবানের লামা, আলীকদম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় এবতেদায়ীর শিক্ষার্থীরা কিছু বিষয়ের বই পেলেও ষষ্ঠ এবং নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এখনো কোনো বই হাতে পায়নি।

এ ব্যাপারে বান্দরবান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বান্দরবান জেলার কোনো  মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত বই না পাওয়ার বিষয়টি তাদের অবহিত করেননি। তাদের কাছে যে পরিমাণ বই এসেছে তা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে বলে ‍তিনি জানান।

উল্লেখ্য, দাখিল শিক্ষার্থীরা মোট বইয়ের চাহিদার ৬৫ শতাংশ এবং এবতেদায়ী শিক্ষার্থীরা ৯৪ শতাংশ বই হাতে পেয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৪
সম্পাদনা: সোহেলুর রহমান, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।